প্রচারে সুজাতা।-গৌতম প্রামাণিক
বিতর্ক ছিলই। তবে সেই সব অভিযোগ উড়ে আসছিল বিরোধী শিবির থেকে। এ বার নিজের দলের মধ্যে থেকেই উঠে এল আপত্তি।
প্রার্থী ঘোষণার আগেই, বহরমপুরে তৃণমূল নেতা মাসুদ রাণা খুনের ঘটনায় উঠে এসেছিল তাঁর ভাইপোর জড়িত থাকার অভিযোগ। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসার পরেই কৃষ্ণনাথ কলেজে দলীয় ফেস্টুন টাঙানোর ঘটনায় ফের জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ গড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত।
সেই আবহ থিতিয়ে পড়ার আগেই বহরমপুরে শাসক দলের প্রার্থী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রথম কর্মিসভায় উঠে এল প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার অনুযোগ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই সভাতেই দলের যুবনেতাদের অনেকেই প্রশ্ন রাখেন তাঁর ‘পরিচিত’ নিয়ে। ওই মঞ্চ থেকেই বহরমপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি শান্তনু দাস বলেন, ‘‘বহরমপুর শহরে ভোট প্রচারে বেরিয়ে অনেক নেতা-কর্মীকে দেখতে পাচ্ছি না। দলনেত্রী যাঁকে বহরমপুরের দলীয় প্রার্থী মনোনীত করেছেন, তাঁকে পছন্দ হয়নি বলেই হয়তো তাঁদের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না।’’ তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দলের একাংশ প্রার্থীকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করছেন’। যুব সংগঠনের সদস্যদেরও ভোট প্রচারে বিশেষ করে বহরমপুরে দেখা যাচ্ছে না বলেও সমালোচনা করেন তিনি।
পরে বলতে উঠে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অশেষ ঘোষ বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে দলেরই একাংশ। যেমন আমি কাউকে বহরমপুর শহর যুব তৃণমূলের জেলা সম্পাদক পদে বেছে নিইনি। কারণ রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে কোনও পদ ঘোষণা করার দরকার নেই বলে জানিয়েছে। তিনি নির্বাচনী কমিটি তৈরি করে ভোটপ্রচারে যাওয়ার কথা বলেন। সেই মত বহরমপুরের প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তার আগে দলেরই কেউ কেউ দলে থেকে দলেরই ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।’’ তিনি জানান, দিনে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেলেও রাতে বিরোধীদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে দল থেকে বিতাড়িত করা প্রয়োজন।
বক্তারা যখন একের পর এক বিতর্কিত কথা বলে চলেছেন, তাঁদের ওই সব কথা তখন মঞ্চে বসে শুনছেন তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতাদেবী। পরে অবশ্য বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। প্রচার তুঙ্গে উঠলে সবাই মিলেমিশে এক হয়ে যাবে।’’