—ফাইল চিত্র।
কলেজের অধ্যক্ষ-শিক্ষকেরা এত দিন ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। এ বার শুধু ক্ষোভপ্রকাশে থেমে না-থেকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সোজা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।
‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দনকুমার মাইতি জানান, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রথমে জেলাশাসক এবং রাজ্য নির্বাচন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন থেকে মৌখিক আশ্বাস পেলেও কাজের কাজ কিছু না-হওয়ায় তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে ১ মার্চ আমাদের মামলার শুনানি হবে।’’
প্রধান শিক্ষকদের ওই সংগঠনের বক্তব্য, স্কুলে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকার পদটি ‘সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট’। পঠনপাঠন তো বটেই, তা ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁরাই। উপরন্তু মিড-ডে মিল, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী সবুজসাথী-সহ ১৭টি কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও প্রধান শিক্ষকদের যুক্ত থাকতে হয়।
এই অবস্থায় প্রধান শিক্ষকদের প্রশ্ন, তাঁরা নির্বাচনের কাজ করতে চলে গেলে স্কুলের পঠনপাঠন এবং নানান প্রশাসনিক কাজকর্ম চলবে কীভাবে? চন্দনবাবু বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনের কাজে অনাগ্রহী নই। যদি দেখা যায়, ভোটে সহকারী শিক্ষকদের কাজ দেওয়ার পরেও নির্বাচনের কাজে প্রধান শিক্ষকদের প্রয়োজন, তখন নিশ্চয়ই কাজ করব। কিন্তু অনেক স্কুল বা মাদ্রাসায় দেখা গিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের নির্বাচনের কাজে নেওয়া হয়নি। অথচ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।’’
প্রধান শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, ভোটে তাঁদের দায়িত্ব দিলে এক দিকে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তেমনই যে-সব স্কুলে পোলিং স্টেশন বা সেক্টর অফিস হয়, অনেক ক্ষেত্রে সেখানে নানান সমস্যা দেখা দেয়। প্রধান শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে সেই সব সমস্যার সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া কলেজ-অধ্যক্ষদের একাংশের মতো চন্দনবাবুদেরও অভিযোগ, বেতন-কাঠামো অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব বণ্টনের নিয়মবিধি মানা হয়নি।