অভিরূপের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মীরা

সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বকেয়া রাখার পক্ষে সওয়াল করা ও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোয় একাধিক শিক্ষক ও কর্মী সংগঠন তোপ দাগল ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের বিরুদ্ধে। অভিরূপবাবুর দাবি, তৃণমূল সরকার উন্নয়ন খাতে খরচ করছে। তাই মহার্ঘভাতা দিতে পারছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৯
Share:

সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বকেয়া রাখার পক্ষে সওয়াল করা ও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোয় একাধিক শিক্ষক ও কর্মী সংগঠন তোপ দাগল ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের বিরুদ্ধে। অভিরূপবাবুর দাবি, তৃণমূল সরকার উন্নয়ন খাতে খরচ করছে। তাই মহার্ঘভাতা দিতে পারছে না। বাম সরকার উন্নয়নের কাজ করত না, সেই টাকায় মহার্ঘভাতা দিত। তাঁর আরও যুক্তি, অন্য রাজ্যে সরকারি কর্মী কম, মহার্ঘভাতার চাপও কম। শিক্ষকদের বেতনের বোঝাও বাম জমানার দায়। অথচ, সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ছুটতে হয় প্রাইভেট টিউটরের কাছে!

Advertisement

অভিরূপবাবুর বক্তব্যকে ‘অসত্য’ ও ‘অসার’ আখ্যা দিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন। শিক্ষক সংগঠনটির তরফে স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘অভিরূপবাবু রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপমান করেই ক্ষান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (আইএসআই)-এর কর্মী ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েও বিশেষ একটি দলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। ওই দুই জায়গা থেকে তাঁকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।’’ কর্মচারী ইউনিয়নের বিপুল রায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রায় আড়াই লক্ষ স্থায়ী পদ শূন্য। রাজ্যে সরকারি কর্মীর সংখ্যা বেশি, এই যুক্তি ধোপে টেঁকে না। কর্মীদের ন্যায্য দাবিকে তিনি বলেন গরিব-মধ্যবিত্তের শ্রেণিসংগ্রাম। নিম্ন আয়ের সরকারি চাকুরেরা কি গরিব মানুষের অন্তর্ভুক্ত নয়? এমনই যাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মীদের বঞ্চনার আদৌ সুরাহা তিনি করতে পারবেন বলে মনে করি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement