সূর্যকান্ত মিশ্র ও রবীন দেব (একেবারে বাঁদিকে)। ছবি: তাপস ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন, জমি আইন পরিবর্তন না করলে সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরত পাওয়া অত সহজ ব্যাপার নয়।
সিঙ্গুরের সিপিএম প্রার্থী রবীন দেবের সমর্থনে বুধবার বিকেলে নির্বাচনী সভায় এ ভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অপূর্বপুর যুব সংঘের মাঠে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী রবীন দেব সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে শ্রোতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সূর্যবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সরকার গড়ে ফেলেছি। ওঁর লক্ষ্য ডবল সেঞ্চুরি। তা হলে ভোটের কোনও প্রয়োজন ছিল না। চতুর্থ দফা নির্বাচনের পর থেকেই ওঁর মনের রোগ ধরেছে। উনি চিন্তায় পড়েছেন। আমি চিকিৎসক হিসাবে বুকে র কোনও রোগ হলে চিকিৎসা করতে পারি। কিন্তু ওঁর মনের রোগ সম্পর্কে আমার কিছু করার নেই। ওটা মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী ১৯শে মে পর টিভির পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার ছবি যেমন ভেসে উঠবে, তেমনই নতুন জোট সরকারের আগমনও দেখা যাবে।’’ ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘চতুর্থ দফার ভোটে রাজ্যের মানুষ দেখেছেন যে একটা ছোট্ট শিশুকে কি নির্মমভাবে ওরা মেরেছে। এটা কি ধরনের বর্বরতা?’’
সিঙ্গুর থেকে টাটার কারখানা চলে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলকে দায়ী করে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে যখন ন্যানো তৈরির কাজ শুরু হল সেই সময় বিরোধী নেত্রী হিসাবে তাতে বাধা দিয়ে কারখানাকে উঠে যেতে বাধ্য করলেন মমতা। বেশ কয়েকটি অনুসারী শিল্পও বন্ধ করে হয়ে গেল। যাঁরা জমি দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কেউ টাকা পেয়েছিলেন আবার কেউ সেই টাকা নিতে চাননি। তাঁরা জমি ফেরত চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা কথা দিয়েছিলেন নতুন জমি আইন করে চাষিদের জমি ফেরত দেবেন। পাঁচ বছর কেটে গেলেও তিনি জমি ফেরত দিতে পারেননি।’’
সারদা, নারদের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ করে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘এখন সিবিআই থেকে বাঁচতে মোদীজির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন মমতা। তাই মোদিজী ছাড়া দিদির চলবে না। আবার এ রাজ্যে দিদিকে ছাড়া মোদিজীর চলবে না।’’