শুভশ্রীর মন্ত্র
গত বার নাকাশিপাড়ায় প্রচারে গিয়ে শুধুই জিপ থেকে হাত নেড়েছেন আর মিষ্টি করে হেসেছেন। মুখে শুধু বলে গিয়েছেন, ‘‘কিচ্ছু বলব না।’’ এ বার মুখের সেই আগল খুললেন তিনি। শুক্রবার সকালে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আবীররঞ্জন বিশ্বাসের হয়ে প্রচারে গিয়ে শুভশ্রী বললেন, ‘‘যাদের এখনও ১৮ বছর বয়স হয়নি, তারা সিনেমা দেখ। বাংলা সিনেমা দেখবে বুঝলে। আর ভোট দেওয়ার বয়স হলে, আবীরদার কাছ থেকে অতীতের অত্যাচারের সব ঘটনার কথা শুনে তার পর তৃণমুলকে ভোট দিও, কেমন।’’ শুক্রবার সকালে শুভশ্রীকে দেখতে নেহাত ভিড় কম হয়নি। সকাল ১০টা থেকেই ভিড় জমতে থাকে। মাইকে মাঝে মাঝেই ঘোষণা, আর কিছু ক্ষণের মধ্যে আসতে চলেছেন তিনি। ১২টা নাগাদ নায়িকা যখন এসে পৌঁছলেন, সূর্য তত ক্ষণে মধ্যগগণে। পরাণ সত্যিই জ্বলিয়া যায়। তাঁকে দেখতে মাঠে ভিড় করেছিল ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও। মঞ্চ থেকে তাদের দেখেই অভিনেত্রী বলে উঠলেন, ‘সিনেমা দেখ’। যখন যার বয়স আর কী...।
স্মৃতি লোপ
দলের হয়ে তিনি গোটা জেলায় ‘ভোট করান’। কিন্তু নিজের বুকেই যে দল রয়েছে তা সব সময় খেয়াল থাকে না। সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরের ভাগবত
নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুকে জ্বলজ্বল করছে দলের ব্যাজ। সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি সামনে আসার পর প্রথমে দাবি করেন, ‘‘ও সব পুরনো ছবি।’’ বিকেলের দিকে অবশ্য স্মৃতি ‘ফেরে’। অনুব্রত জানান, ব্যাজ খোলার কথা মনে ছিল না। এ দিকে কমিশন ব্যাপারটা নিয়ে
রিপোর্ট তলব করেছে জেলাশাসকের কাছে।