ভোটকর্মীর মৃত্যু, কমিশনে যাওয়ার হুমকি পরিবারের

ভোটের কাজ করতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ভোট কর্মীর। কুমারগ্রামে রবিবার দুপুরের ঘটনা। মৃত গোপী চক্রবর্তীর (৫৯) বাড়ি কোচবিহার টাকাগছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুমারগ্রাম শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৩
Share:

ভোটের কাজ করতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ভোট কর্মীর। কুমারগ্রামে রবিবার দুপুরের ঘটনা। মৃত গোপী চক্রবর্তীর (৫৯) বাড়ি কোচবিহার টাকাগছে।

Advertisement

ভোটের কাজে গিয়ে রবিবার সকালেও স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন তিনি। তখনই শরীর খারাপ লাগার কথা বাড়িতে জানান বলে পরিবারের দাবি। দুপুরে নির্বাচন কমিশনের তরফে গোপীবাবুর অসুস্থতার খবর জানানো হয় তাঁর বাড়িতে। কিছুক্ষণ পরে তাঁর মৃত্যুর খবর আসলে শোকে ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২০০৯ সালে গোপীবাবুর বুকে পেসমেকার বসানো হয়। তারপরে ২০১১ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাঁর ডিউটি পড়েনি। মৃতের স্ত্রী রত্না চক্রবর্তী বলেন, “ওঁর পেসমেকার বসানোর কথা অফিসে সবাই জানায় আর ভোটের ডিউটি আসেনি। এ বার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার দুই জেলাতেই ডিউটি পড়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।’’ মৃতের দুই ছেলে উজ্জ্বল ও বিশ্বজিৎবাবু কুমারগ্রামে রওনা হয়েছেন।

উজ্জ্বলবাবুর অভিযোগ, “অসুস্থতার জন্য ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চাইলেও বাবাকে তা দেওয়া হয়নি। আবেদন গ্রাহ্য হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।’’ তাঁর আরও দাবি, গত কাল রাত থেকে অসুস্থতার কথা জানালেও গোপীবাবুর কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। কুমারগ্রামের বিডিও বিধানচন্দ্র পান্ডে জানান, “থার্ড পোলিং অফিসার হিসাবে রিজার্ভে ছিলেন তিনি। দুপুরে হোটেল থেকে খেয়ে বিডিও অফিসে ফেরার সময় রাস্তায় পড়ে যান।’’ কুমারগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি। ময়না তদন্তের জন্য তাঁর দেহ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ভোটের ডিউটি থেকে শারীরিক কারণে অব্যাহতি চাইলে আবেদনকারীকে মেডিক্যাল বোর্ডে রেফার করা হয়। সেখানে সবুজ সংকেত না দিলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি মেলার জায়গা থাকে না। ওই কর্মীর ক্ষেত্রে কী হয়েছিল তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে জানান কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। মৃতের পরিবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানিয়েছে।

কোচবিহার জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিলেন গোপীবাবু। এলাকায় ভাল মানুষ হিসাবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। এ দিন এলাকার বাসিন্দারা ওই দুসংবাদ জেনে বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। প্রতিবেশী জয়ন্ত দাস বলেন, “গোটা তল্লাটে সবাই ওঁনাকে একডাকে চেনেন। এমন ভাল মানুষ হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement