এক সময়ে তারা ছিল পরস্পরের প্রতিপক্ষ। আজ ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো। একদা যারা রাজনীতির ময়দানে মুখোমুখি লড়াই করত, আজ তারা একসঙ্গে ভোটে লড়ছে। ভোট-জোটের এমনই মহিমা যে, সিপিএম তথা বাম শিবির আর কংগ্রেসে এখন রীতিমতো গলাগলি!
রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি সল্টলেকেও ছবিটা এক। রবিবার সকালে ছিল বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী অরুণাভ ঘোষের কর্মিসভা। সল্টলেকের বি-ডি ব্লকে লবণ হ্রদ মঞ্চে সেই সভা থেকে বামেদের সঙ্গে একযোগে ভোট লুঠ আটকানোর ডাক দিল কংগ্রেস।
প্রার্থী অরুণাভ ঘোষ ছাড়াও সভায় ছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব, রমলা চক্রবর্তী প্রমুখ। এক সময়ে অরুণাভবাবু কিংবা তাঁর দল বিধাননগরে বহিরাগত এনে ভোট লুঠ, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন। এ দিন সেই বামেদের সঙ্গে একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই পুরনো অভিযোগ তুলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন। ২০১১ সাল থেকে পরের পর নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সভায় ভোট লুঠ আটকানোর ডাক দেন নেতারা। তাঁরা বলেন, বিধাননগরের ভোটারেরা আতঙ্কিত। এমনকী শাসক দল তৃণমূলের সমর্থকেরাও ভোট দিতে পারেননি। তাই শান্তির পরিবেশ ফেরাতে, ভোট লুঠ রুখতে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই চালাতে হবে।
বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, বিধাননগর পুর নিগমের নির্বাচনের আগেও অরুণাভ-গৌতমবাবুরা যৌথ মঞ্চ গড়ে ভোট লুঠ রুখতে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের দিনে তাঁদের সে-ভাবে লড়াই চালাতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, পুর নিগমের নির্বাচনে বিরোধীরাও ভোট লুঠ প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। এ বার তৃণমূলের বহিরাগতদের আটকানো হবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে। এ দিন কর্মিসভা ছাড়াও ১৭ নম্বর দক্ষিণদাঁড়ি, গোলাঘাটা এলাকায় সিপিএমের মিছিলে যোগ দেন কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘‘বিশাল মিছিল। বাম কর্মীরা যে-ভাবে পথে নেমেছেন, তাতে আমি অভিভূত। শুধু প্রতিরোধ নয়, এ বার জিতবো।’’