শিলিগুড়ির মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে নুসরত ও মিমি।
দিন ২ আগেই বিজেপি সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, শাসক দল তারকাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। জিতে ফিরলে কাজ করতে দেয় না। দেব, মিমি, নুসরতের সঙ্গেও তাই-ই হয়েছে। এই জন্যেই বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে তাঁরা। রুদ্রনীলের সেই মন্তব্য মিথ্যে প্রমাণিত করে শিলিগুড়ির প্রচার মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২ পাশে দেখা গেল নুসরত, মিমিকে। মঞ্চে ‘দিদি’র পাশে সাদা সালোয়ার-কামিজ,কুর্তি পরা দুই ‘অভিনেত্রী মেয়ে’কে দেখেই উল্লাসে ফেটে পড়ে জনজোয়ার। টুইটারে সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন স্বয়ং নুসরত। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বার্তা, ‘দিদির সাথে, দিদির পাশে। খেলা হবে'।
’২১-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রচণ্ড উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। রাজ্যের শাসন বর্তমান শাসকদলের হাতেই থাকবে? নাকি পদ্মফুলে ঢেকে যাবে ‘সোনার বাংলা’? আগাম জল্পনা চলছে তাই নিয়ে। জল্পনার সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে তারকাদের ক্রমাগত দলবদল। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁদের যোগদান। যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় নিতেই গুঞ্জন শুরু হয় সাংসদ-তারকা দেব অধিকারী, নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে। যশের হাত ধরেই নাকি পদ্মবনে প্রবেশ ঘটবে নুসরতের, শোনা গিয়েছিল এমন কথাও। তার পরেই নাকি ‘একে একে দুই, দুইয়ে একে তিন’ হতে চলেছে খুব শিগগিরি। এমন আবহে বিজেপি সদস্য পার্নো মিত্রের সঙ্গে গোয়ায় মিমিকে ছুটি কাটাতে দেখে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, তাঁর বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা। সেই সময় রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন, প্রচার থেকে দূরে থাকবেন বলেই ৩ সাংসদের ইনস্টাগ্রামে কুকুর, ফুল, পাখির ছবিতে ছয়লাপ। পাশাপাশি, নুসরতের সঙ্গে তাঁর 'বোনুয়া' মিমির বিচ্ছেদ ঘটেছে, এমন রটনাও শোনা গিয়েছিল অনেকের মুখে। তার পরেই দেবড়া গ্রামীণ উৎসবে দেবের যোগদান, শিলিগুড়িতে নুসরত, মিমির উপস্থিতি সত্যিই জমিয়ে দিল খেলা।