লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর আর এক বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যে তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জেরে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী। তাঁর উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুথে এজেন্ট দিতে পারেননি। তাই পরিস্থিতি নজরে রাখতে বাইকে চেপে সকাল থেকেই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র উত্তর হাওড়ার বুথে বুথে ঘুরছেন রূপা। অভিযোগ, সালকিয়ার শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রম শিক্ষা নিকেতনে তিনি ঢুকতেই নাটকীয় ভঙ্গিতে তাঁর পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন এক তৃণমূল এজেন্ট। অন্য দিকে, রূপাকে দেখে এগিয়ে আসেন এক নির্দল এজেন্ট। ‘‘এখানে যা খুশি চলছে, অবাধে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে।’’ অভিযোগ করেন তিনি। পাল্টা রূপা বলেন, সেই খবর পেয়েই বুথে এসেছেন তিনি। এর পরেই তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল এজেন্ট সোমা দাস উত্তর হাওড়ার বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন। অন্য দিকে রূপার দাবি, তাঁর উদ্দেশে বুথের মধ্যেই অসাংবিধানিক কথা ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু তৃণমূল নেতা এগিয়ে এসে বলেন, ‘‘সিনেমার লোক সিনেমাই করুন, এখান থেকে ভাগুন।’’ যদিও ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তর্কাতর্কির মধ্যেই রূপাকে এক জনের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন ‘‘সবাই দেখেছেন কী হয়েছে। আমার গায়ে অত জোর নেই যে মারধর করব। আর অত পাল্টা অভিযোগ করার সময়ও নেই।’’
এই ঘটনার জেরে রূপার উপর নজরদারির নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে ভাঙলেও মচকাতে নারাজ রূপা। বলছেন, ‘‘পুলিশ বা কমিশন কাউকেই পাশে পাচ্ছি না। ফলাফল যা-ই হোক, এই এলাকায় পাঁচ বছর থাকবই, বদলে দেব এলাকাটা।’’
দেখুন সেই ভিডিও
আরও পড়ুন-
হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না প্রার্থীও মারধর, শাসানিতে অভিযুক্ত শাসকদল