কাকলি: বসুন। চেন্নাই থেকে কেউ আসবে শুনেছিলাম।
ম্যাথু: আমিই সে। এই আমার কার্ড। ২৫টি বড় কোম্পানির হয়ে আমি কাজ করি। আসলে লবি করি, যাতে তারা কাজ পায়।
কাকলি: ওকে... আচ্ছা।
ম্যাথু: আমরা ভোটের সময়ে কিছু টাকাকড়ি দিয়ে আপনাদের সমর্থন করছি।
কাকলি: ওকে।
ম্যাথু: আমি কি আপনাকে টাকাটা দেব?
কাকলি: সুলতান বোধ হয় আপনার কথাই বলেছিল। সন্তোষ...
ম্যাথু: আমিই সন্তোষ। আপনার জন্য ৫ লাখ নিয়ে এসেছি। এটা অ্যাডভান্স।
কাকলি: দিন।
(টেবিলে বেশ পাঁচশো টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল রাখেন ম্যাথু)
ম্যাথু: আর কোনও সাহায্য লাগলে বলবেন।
কাকলি: (টাকার বান্ডিল সরিয়ে রাখতে রাখতে) এই মুহূর্তে আর কিছু লাগবে না।
ম্যাথু: যদি পরে লাগে জানাবেন। আরও টাকা...
কাকলি: নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই... ঠিক আছে।...
ম্যাথু: ...ভোটে একটা বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কাকলি: অবশ্যই। অবশ্যই।
ম্যাথু: এই জন্যই আমরা আপনাদের
কাছে এসেছি।
কাকলি: ভোটের ফল কী হতে পারে? আপনারা কী মনে করছেন?
ম্যাথু: আমার দৃঢ় বিশ্বাস— তৃণমূলকে বাদ দিয়ে কেউ সরকার গড়তে পারবে না।
কাকলি: সেটা একেবারে সত্যি।
ম্যাথু: আমরা ক্ষমতাধর কয়েক জন সাংসদের তালিকা তৈরি করেছি। আপনিও আছেন।
কাকলি: ও... তাই?
ম্যাথু: ভোটের সময়ে আপনাদের টাকার দরকার হয়। যা খরচ বেড়েছে এখন!
কাকলি: এ বার তো বেশি ঝামেলা। এ বারের ভোটটা চতুর্মুখী।
ম্যাথু: কিন্তু আপনি অন্তত লাখখানেক ভোটে জিতবেন।
কাকলি: এক লাখ? আমি অন্তত দু’লাখ ভোটে জিতব। একেবারে নিশ্চিত।...
ম্যাথু: তা হলে তো আপনি মন্ত্রী হচ্ছেন। হা হা হা হা
কাকলি: হা হা হা হা । ভগবানই জানেন। তবে এটা অনেকেই আমাকে বলছেন বটে...
ম্যাথু: তবে আমরা আপনার সমর্থন চাই।
কাকলি: অনেকেই আমাকে বলছেন, তুমি মন্ত্রী হতে পারো। দেখা যাক কী হয়।
ম্যাথু: যদি আরও টাকার দরকার হয়, আমাকে শুধু একটা ফোন করবেন। আমি দশ দিন আছি কলকাতায়।
কাকলি: (কার্ডটা তুলে দেখেন) ঠিক আছে। লাগলে আমি ফোন করে দেব। নিশ্চয়ই করব।
ম্যাথু: আমি তক্ষুণি এসে আপনাকে দিয়ে যাব।
কাকলি: ঠি-ই-ক আছে!