বিপুল জয়ের পর কালীঘাটে বাড়ির সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
নবান্নের দখল ধরে রাখা সুনিশ্চিত হতেই বাংলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার ডাক দিলেন তিনি। একা লড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেই মমতার ঘোষণা, রাজ্যে বিজয়োৎসব চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। গত পাঁচ বছর সরকার যে ঢালাও উন্নয়ন করেছে রাজ্যে, তার জন্যই এই বিপুল জয়। বললেন মমতা।
১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম বাংলায় কোনও শাসক দল একা লড়াই করল। ইতিহাস গড়ে ২১৭ আসন নিয়ে ক্ষমতায় পিরলেন মমতা। গত বার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে দলের ঝুলিতে ঢুকেছিল ১৮৪টি আসন। এ বার একক লড়াইতেই সেই সংখ্যাকে তৃণমূল ছাপিয়ে গেল। কংগ্রেস-তৃণণূল মিলে যত আসন জিতেছিল ২০১১ সালে, এ বার তৃণমূল একাই সেই সংখ্যার কাছাকাছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন প্রথমেই রাজ্যের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানান। যে বিপুল সমর্থন তৃণমূলের প্রতি উজাড় করে দিয়েছেন ভোটাররা, তাঁর জন্য রাজ্যবাসীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। মমতার ঘোষণা, মে মাস জুড়ে এ বার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিজয়োৎসব চলবে। তিনি বলেন, ‘‘ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সব পরীক্ষায় পাশ করেছে ভাল ফল করেছে। তাদের পুরস্কৃত করা হবে। সম্মান জানানো হবে।’’ অর্থাৎ তৃণমূলের বিপুল জয় যেমন উদযাপন করবে দল, তেমনই সামাজিক উৎসব-অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেই বিজয়োৎসবে সামিল করা হবে আরও অনেককে।
বিপুল উন্নয়নের জন্যই এই জয়, বলেছেন মমতা। গত পাঁচ বছরে গোটা রাজ্যে তাঁর সরকার যে কাজ দেখিয়েছে, তার নিরিখেই মানুষ রায় দিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে গোটা রাজ্যে শ্রেষ্ঠ করে তোলাই আমার কাজ হবে।’’ আগামী পাঁচ বছর রাজ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই তৃণমূলের সরকার কাজ করবে বলে মমতা জানান।