জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ৩১টি আসনে। এই দফাতেই ভোট রয়েছে নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্রে এক দিকে প্রার্থী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে তাই গত কয়েক দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের নানা প্রান্তে প্রচার চালিয়েছেন দু’জনেই। প্রচারের শেষ লগ্নে যত বেশি সম্ভব জনসংযোগ করতে চাইছেন তাঁরা।
সোনাচূড়ায় জনসভার পরে বাঁশুলিচকে জনসভা করলেন মমতা। তিনি কী বললেন।
• ওদের একটা প্ল্যান আছে। নিজেদের দলের একটা মেয়েকে মারবে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে যে সব গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে ওদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর পুরোটাই হিন্দু-মুসলমান করে দেবে। খেয়াল রাখবেন।
• সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। আর মাস্ক পরে যাবেন। মাস্ক না পরে থাকলে অনেক সময় সেন্ট্রাল ফোর্স বের করে দিচ্ছে। অনেক সময় গ্রামে গিয়ে বলছে বিজেপি-কে ভোট দিতে। বললেই রেকর্ড করে নেবেন। তারপর আমাকে পাঠাবেন।
• ১ এপ্রিল তো এমনিতেই এপ্রিল ফুল। সে দিন বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন। আর সব ভোট আমাদের দিন।
• আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হোক। তোমাদের তো এত টাকা। তাহলে ভয় দেখাচ্ছ কেন। তা হলে কি আগে থেকেই হেরে বসে আছ? গণভোট নিয়ে দেখো না। আমি তাতেও রাজি।
• আজকে হোম মিনিস্টারকে নিয়ে এসেছিল। পুলিশকে ধমকানো আর চমকানোর জন্য। আর তো ৪৮ ঘণ্টা। এই ৪৮ ঘণ্টা ঘুরে নে। তারপর তো পগার পার হতেই হবে। আর হলদি নদীর ধারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন আমরাই থাকব।
• যার বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল সেই নব সামন্তকে দলে নিয়েছে। এখন গদ্দারের ডান হাত হয়েছে। ওকে দায়িত্ব দিয়েছে বয়াল, গোকুলনগর দখল করার। দেখব কী করে দখল করে।
• আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর আমাকে বলে কি না বহিরাগত। ভাবুন।
• এখন নন্দীগ্রামে কোনও বিধায়ক নেই। যাকে জিতিয়েছিলেন সে তো পালিয়েছে। আমি কিন্তু ভবানীপুর থেকে এখনও বিধায়ক। এ বার নন্দীগ্রামের বিধায়ক হব। ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমি ওখানকার মানুষদের বুঝিয়েছি, এ বার আমি গ্রাম থেকে দাঁড়াতে চাই। আর গ্রাম থেকে দাঁড়ালে তো নন্দীগ্রামের থেকে ভাল কিছু হয় না।
• আমি নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়িয়েছি জানে, আমি যেদিন এখানে সভা করতে এলাম দেখলাম সবাই খোল-করতাল নিয়ে নাচ-গান করছেন। তখন আমার মনে হল এখানে কি আমার দাঁড়ানো উচিত? তখনই আমি ঠিক করলাম এখন থেকে দাঁড়াব।
• নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি। এখনকার মানুষ সবাইকে ভালোবাসেন।
• অন্তত ১ লক্ষ মানুষ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। দেখে মন ভরে গেল।