মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিবেক দুবে। ফাইল চিত্র
নন্দীগ্রামে কী ভাবে আহত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (সিইও)-এ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় আহত হন মমতা। তাঁরবাঁ পা, কাঁধ এবং কোমরে চোট লাগার কারণে তিনি এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা হালকা ভাবে নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ভেদ করে কেউ ‘হামলা’ করেছিল, নাকি এটা নিছক দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বস্তুত, ভিআইপি-দের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায় (ডিরেক্টর সিকিউরিটিজ)। কমিশনের নজরে রয়েছেন তিনিও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ ভোট প্রচারে ভিআইপিদের নিরাপত্তায় কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের ভিডিয়ো বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে কমিশন। রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও। ইতিমধ্যে রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তিনি এক দফা কথাও বলেছেন বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্ট দেখার পর, তা পৌঁছবে দিল্লির নির্বাচন সদনে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপারের দফতর থেকে নবান্নে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পৌঁছেছে। নন্দীগ্রাম থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্ত এখনও চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সব দিক খতিয়ে দেখার পর শুক্রবার নবান্ন থেকে রিপোর্ট পৌঁছে যাবে কমিশনে।