মুখ্যমন্ত্রীকে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মমতার বাঁ পায়ের গোড়ালিতে এখনও ব্যথা রয়েছে। তাঁর শরীরে সোডিয়ামের মাত্রাও কম। তাই এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। মমতার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে বিরুলিয়ায় গুরুতর চোট পান মমতা। সেখান থেকে তাঁকে ‘গ্রিন করিডর’ করে এসএসকেএম-এ আনা হয়। রাতে বাঙুর ইনস্টিটিউড অব নিউরোসায়েন্সে নিয়ে গিয়ে এমআরআই করা হয়। হাড়ে চিড় ধরা পড়ায় পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম-এর অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বাঁ পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা রয়েছে। ফের এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে হবে।’’
মমতা ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মণিময় ছাড়াও ৩ বিভাগীয় প্রধান এবং আরও ৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মমতার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে। রাখা হয়েছে অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিয়োলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
বৃহস্পতিবার মমতা হাসপাতাল থেকেই একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন। সেখানে মমতা বলেন, ‘‘গতকাল আমার খুব জোরেই চোট লেগেছিল। আমার পায়ে চোট আছে, ইনজুরি আছে লিগামেন্টে চোট লেগেছে। কাল আমরা মাথায় এবং চেস্টে খুব পেনও হয়েছে। এতবড় একটা চোট লেগেছে। গাড়ির বনেটের ওপরে আমি দাঁড়িয়ে সকলকে নমস্কার করছিলাম। তখন এমন জোরে চাপ আসে তখন পুরো গাড়িটা আমার পায়ের ওপর চেপে যায়। আমার কাছে যে ওষুধগুলো ছিল সেগুলো খেয়ে কলকাতার দিকে রওনা হই। ডাক্তারদের চিকিৎসাতেই আছি।’’