পরের নৌকাবিহারে আপনারও আমন্ত্রণ রইল, তথাগতকে বলেছেন মদন।
তথাগত রায়ের ‘প্লে বয়’ সম্বোধন সাদরে গ্রহণ করলেন মদন মিত্র। তবে তাতে তাঁর সামান্য সংশোধন, ‘‘আপনি যে অর্থে প্লে বয় বলেছেন, আমি ঠিক তেমন প্লে বয় নই। আমি খেলি, তবে রাজনীতির ময়দানে।’’
এমনকি নিজেকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্লে বয়’ ভগবান কৃষ্ণের অনুসারী বলেও মন্তব্য করেছেন মদন। তথাগতকে তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘আসলে তথাগতদা এই ‘প্লে বয়’-এর সঙ্গে নৌকাবিহারে অংশ নিতে পারেননি বলে ক্ষুণ্ণ হয়েছেন। আপনাকে পরের নৌকাবিহারে নিশ্চয়ই ডাকবে আমি।’’ তবে বিদ্রুপ করলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মদন। তথাগতকে সতর্ক করে বলেছেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতার জোরে যেন বাংলার মেয়েদের অসম্মান করার ভুল না করেন তথাগত।
মঙ্গলবার বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা তথাগতর কয়েকটি টুইট নিয়ে সারাদিনই সরগরম ছিল রাজ্যের রাজনীতি। তার সঙ্গে বিনোদনের জগৎও। বিজেপি-র তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার এবং তনুশ্রী চক্রবর্তীর টিকিট পাওায়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিদ্রুপ করে টুইট করেছিলেন তথাগত। লিখেছিলেন, ‘এই নগরনটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর তৃণমূলের প্লে বয় রাজনীতিবিদ মদনের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন। এ দিকে ভোটে হেরে ভুত হয়েছেন’। তথাগতর প্রশ্ন, কারা এঁদের টিকিট দিয়েছিল? কেনই বা দিয়েছিল’? তারই জবাবে টলিউড থেকে রাজনৈতিক মহল তথাগতর সমালোচনায় মুখর হয়।
পরে তথাগতর ওই টুইটের জবাবের মদন বলেন, ‘‘বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় ‘প্লে বয়’ কে জানেন? ভগবান কৃষ্ণ। আমি তাঁরই দেখানো পথে চলি। আপনি আমাকে প্লে বয় বলেছেন মানছি। তবে যে অর্থে প্লে বয় বলেছেন তা মানতে পারছি না। আমি খেলি। তবে, রাজনীতির ময়দান আমার খেলার জায়গা। আই প্লে ইন পলিটিক্স।’’
ভোটের দিন কয়েক আগে মদনের সঙ্গে নৌকাবিহারে গিয়েছিলেন বিজেপি-র ৩ তারকা প্রার্থী তনুশ্রী, শ্রাবন্তী এবং পায়েল। মদনকে ঘিরে তাঁদের নাচ এবং সেলফি তোলার ভিডিয়ো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল নেট মাধ্য়মে। মঙ্গলবার তা নিয়ে কটাক্ষ করে তথাগতর টুইটের জবাবে মদন বলেন, ‘‘আসলে তথাগতদা বেভারলি হিলটপের বাড়িতে বসে ওই ‘প্লে বয়’ পত্রিকা দেখার সুযোগ পান। আমরা তো আর তাঁর মতো আপটাউনের মানুষ নই। মাটির কাছাকাছি থাকি তাই আমাদের এইসব পত্রিকার কথা মাথায় আসে না।’’
বিজেপির তারকা প্রার্থীদের অসম্মান করা প্রসঙ্গে মদন বলেন, ‘‘তথাগতদা যে ভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, যদি তা-ই হত তবে ভোটের ফলে তার প্রভাব দেখা যেত।’’ মদনের কথায়, ‘‘দক্ষিণেশ্বরের ঘাটে সবার সামনে হয়েছিল ওই নাচ-গানের অনুষ্ঠান। সবাই দেখেছেন। কারও যদি মনে হত খারাপ কিছু চলছে, তবে মানুষ আপত্তি করতেন। তাঁরা তা করেননি। বরং বিপুল ভোটে তাঁর দল এবং তিনি জিতেছেন।’’