মঙ্গলবারের বৈঠকে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভোটের সময় বাইক বাহিনীর উপরে নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনের নির্দেশ— আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনই শুধু নয়, মোটরবাইক-মিছিল চিরদিনের মতো নিষিদ্ধ করা হল। অর্থাৎ, রাজ্য প্রশাসনের প্রতি নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী নির্দেশ, কোনও রাজনৈতিক দলকে ভবিষ্যতেও বাইক-মিছিল করতে দেওয়া যাবে না।
রাজ্যে যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে তাদেরই বাইক বাহিনী এলাকা দাপিয়েছে। আগে সিপিএমের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের অভিযোগ ছিল— ভোটারদের ভয় দেখাতেই পাড়ায় পাড়ায় বাইক মিছিল করছে তারা। এ নিয়ে কমিশনের কাছে লাগাতার অভিযোগ জানাত তৃণমূল। এখন সেই তৃণমূলই রাজ্যে ক্ষমতায়। মঙ্গলবার কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে তাদের বিরুদ্ধেই বাইক মিছিলের অভিযোগ করে বিরোধী সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি।
এত দিন পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশ ছিল, সর্বাধিক তিনটি বাইক নিয়ে মিছিল করা যাবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিধানসভা বা লোকসভা তো বটেই, পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বাইক বাহিনীর দাপটে সন্ত্রস্ত হয়ে উঠতেন মানুষ। নির্বাচন সদন সূত্রে খবর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির একযোগে অভিযোগ শুনে বিষয়টি নিয়ে কমিশন নিজস্ব সূত্রে খোঁজ নেয়। তার পর কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, বাইক বাহিনী দাপট কমিশন মানবে না। এ দিন কমিশন যে নির্দেশ পাঠিয়েছে, তা যে শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে সদন।