ডোমকলে সিপিএম কর্মী খুন হওয়ার ঘটনার দায় নির্বাচন কমিশন কেন ঝেড়ে ফেলতে চাইছে, সেই প্রশ্ন তুলে আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছেই দরবার করলেন সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার ডোমকলে সিপিএম কর্মী তহিদুল মণ্ডল খুন হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত উপ-নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা মন্তব্য করেছিলেন, পোলিং বুথ থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আজ জৈদীর কাছে দরবার করেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ জানান, সাক্সেনা প্রথম দফার ভোটের পরেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরের ঘটনা কমিশনের দায় নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু ভোট চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা জনিত যে কোনও ঘটনাই কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সাক্সেনার এই ধরনের মন্তব্য আসলে তৃণমূলের হিংসাকে ছাড়পত্র দিচ্ছে বলে জৈদীর কাছে অভিযোগ তোলেন ইয়েচুরি। বৈঠকের পরে তিনি জানান, সাক্সেনাকে বোঝানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জৈদী।
ডোমকল, হাড়োয়া মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের ভোটকে কেন্দ্র করে সিপিএমের মোট ৮ জন কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইয়েচুরি। তিনি আরও জানান, ভোট মিটে যাওয়ার পরেও হিংসা চলছে। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় আটক করা হয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বাকি তিন দফার ভোটেও হিংসা হবে। ইয়েচুরির দাবি, জৈদীও মানছেন এই সব ঘটনা আরও হিংসারই ইঙ্গিত। পরিস্থিতির মোকাবিলায় জৈদী আজই সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে পশ্চিমবঙ্গের অফিসারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। জেলাশাসক, এসপি-র পদে বদলিও করা হয়েছে।