আহত সইফুল মোল্লা। নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে মেটিয়াবুরুজের কটন লেন হালদার পাড়ার ঘটনা। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতা পুরসভার ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রহমত আনসারির দিকে। যদিও তিনি ওই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। রহমতের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা তাঁর সরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে।
সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে রহমত আনসারি তাঁর দলবল নিয়ে তাদের ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি কর্মীদেরও বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় সৈফুদ্দিন মোল্লা-সহ বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে এবং পরে তাদের সমর্থকদেরও মারধর করেছে।
রহমতের নিরাপত্তারক্ষী প্রদীপ ব্রহ্মকে রাস্তায় একা পেয়ে সিমিএম মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর পুলিশ এসে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সিমিএমের অভিযোগ, রহমত যখন তাদের উপর হামলা চালায় তখন প্রদীপবাবুও ছিলেন। প্রদীপ ব্রহ্মের অভিযোগ, তিনি কোনও গোলমালে ছিলেন না। তাঁকে একা পেয়ে সিমিএম কর্মীরা মারধর করেছে। রহমতের দাবি, তিনি ভোট দিয়ে ফিরছিলেন সেই সময় সিপিএমের বহিরাগতরা তাঁ উপর হামলা চালায়।
অবৈধ জমায়েত-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।