COVID-19

করোনার ছায়া ইডি, সিবিআইয়েও, যাবতীয় হাজিরায় আপাতত নিষেধাজ্ঞা কলকাতা দফতরের

ইডির ৩০ জন এবং সিবিআইয়ের ৪ জন আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। বন্ধ থাকছে জিজ্ঞাসাবাদও। তবে তদন্তের প্রক্রিয়া চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১ ১৩:০০
Share:

রাজ্যে অতিমারি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই তাই দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সিদ্ধান্ত।

করোনায় আক্রান্ত রাজ্যের সিবিআই এবং ইডি দফতরের মোট ৩৪ জন আধিকারিক। সংক্রমণ এড়াতে তাই আপাতত হাজিরার ও জেরার কাজ বন্ধ করল কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থার কলকাতা দফতর।

Advertisement

কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরের ৪ জন এবং ইডি-র দফতরে ৩০ জন আধিকারিক এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমিত বলে দুই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। রাজ্যে অতিমারি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই তাই দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সিদ্ধান্ত, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাক্ষীকে নতুন করে হাজিরার নোটিস দেওয়া হবে না। এমনকি যাঁদের ইতিমধ্যেই নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও আপাতত সিবিআই এবং ইডি-র দফতরে আসতে হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

কয়লা, গরু পাচারের মামলা এখন সিবিআইয়ের তদন্তাধীন। এই সমস্ত মামলায় গত কয়েকদিনে যাঁদের তদন্তকারী সংস্থার তরফে তলব করা হয়েছিল, তাঁদের আপাতত হাজিরা দিতে হচ্ছে না বলে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, রাজ্যে অতিমারি সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। তবে জেরা বন্ধ থাকলেও তদন্তের গতিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই ওই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর।

Advertisement

কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স এবং নিজাম প্যালেসে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতর। সেখানে আপাতত দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ৫০ শতাংশ আধিকারিক নিয়ে কাজ করছে বলে সূত্রের খবর। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কারও পরিবারে যদি কেউ করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তবে তার থেকে সিবিআই এবং ইডির গোয়েন্দাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। বা কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতর থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে পারে। সে সব বিষয় মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement