নয়াদিল্লির নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র
আগামী ২ মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন এবং তার পরেও কোনও বিজয়মিছিল বা বিজয় সমাবেশ করা যাবে না। গত এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে অত্যন্ত দ্রুত হারে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যাবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ওই সব বিজয়মিছিল ও সমাবেশের উপর মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় কী কী থাকবে, তা মঙ্গলবারই সবিস্তারে ঘোষণা করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিধানসভা ভোট হয়েছে অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরিতে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২ মে। গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল, ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়মিছিল বা সমাবেশ বন্ধ করা হোক। না হলে সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে বেড়ে যাবে।
করোনা পরিস্থিতিতেও নিয়মিত জনসভা করে গিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। হাজার হাজার মানুষের জমায়েতে হাতেগোনা কয়েক জনের মুখেই মাস্ক দেখা গিয়েছে। দেশে সংক্রমণ যখন লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সময় নির্বাচনী সভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এমন ‘গা ছাড়া’ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার তা নিয়ে কমিশনকে তুলোধনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কোভিডে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য কমিশনকেই দায়ী করে আদালত। এমনকি, বিধিনিষেধ মানা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা দেখাতে না পারলে ২ মে কমিশনের ভোটগণনা আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় আদালত। সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলে, নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দু’জনেই। জানিয়ে দেন, অতিমারি আবহে রাজনীতিকরা তো বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করেননি, কমিশনও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
এর পর মঙ্গলবার কমিশন জানিয়ে দিল, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন এবং তার পরেও কোনও বিজয়মিছিল বা বিজয় সমাবেশ করা যাবে না।