মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা সাহায্য করা হবে, ঘোষণা মমতার
‘‘কোচবিহারে হিংসা বেশি হচ্ছে। গুন্ডামি হচ্ছে। উদয়নের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় হিংসা হচ্ছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। আসলে বিজেপি মানুষের রায় মেনে নিতে পারেনি। তাই ওরা গন্ডগোল করছে। বিজেপি-কে বলব, মানুষের রায় মেনে নিন।’’ বললেন মমতা।
শপথের কয়েক ঘণ্টা পরেই বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এখনও বাংলায়। যখন অক্সিজেন, ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না তখন তাঁরা আসছেন না কেন? দিল্লির দাঙ্গার পর কেন কেন্দ্রীয় দল আসে না? প্রশ্ন মমতার। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যেন অকারণ প্ররোচনা না দেন।
পাটশিল্পে একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করবেন না, জানালেন মমতা। পাটশিল্পে শ্রমিকেরা ১ শিফ্টে কাজ করবেন। বললেন, এই সব এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। তাই এই এলাকাগুলিতে দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, দরকারে কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসা করবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হবে। সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বেড রাখতে হবে। ডাক্তারি পড়িুয়াদের করোনা চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে।
আগামী ১৫ দিন সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মমতা। বললেন, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখুন। গাদাগাদি করে বাসে উঠবেন না। ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন।