প্রতীকী ছবি।
পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-কে আসন নয় মালদহে। বরং এই জেলায় বাম তথা সিপিএমের সঙ্গে তাঁদের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত বলে দাবি করলেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতার ফর্মুলাতেই এবারে জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৯টিতে কংগ্রেস, ৩টিতে সিপিএম তথা বামেরা লড়বে। খুব শীঘ্রই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম আসন সমঝোতা করে লড়াই করেছিল মালদহ জেলায়। সে ক্ষেত্রে জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস ও ২টিতে সিপিএম। ইংরেজবাজার আসনটিতে বাম-কংগ্রেসের সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ছিল। এ বারেও রাজ্যস্তরে কংগ্রেস ও বামেরা আসন সমঝোতা করে বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে বলে প্রথমে ঠিক থাকলেও পরে ফুরফুরা শরিফেরপীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফের সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই সংযুক্ত মোর্চার ডাকে কলকাতার ব্রিগেডে গত রবিবার বিশাল সমাবেশও হয়।
সূত্রের খবর, মালদহে ১২টি আসনের মধ্যে দু’টিতে প্রার্থী দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আইএসএফ। সে ক্ষেত্রে তারা সুজাপুর ও মোথাবাড়ি আসন দাবি করে বলে খবর। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আগাম জানিয়েছিল যে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আইএসএফকে একটি আসনও তারা ছাড়বে না। বৃহস্পতিবার একান্ত আলাপচারিতায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) বলেন, ‘‘এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই অনেক কঠিন। তৃণমূলের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির সঙ্গে এ বার লড়াই। জোটে থাকলেও জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৯টিতে কংগ্রেস ও ৩টিতে সিপিএম তথা বামেরা প্রার্থী দেবে। আইএসএফকে কোনও আসন দেওয়া হচ্ছে না। জেলার এই আসন সমঝোতা
চূড়ান্ত হয়েছে।’’
এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘আসন সমঝোতার ব্যাপারে দলের রাজ্য কমিটির তরফে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও জানানো হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’
আইএসএফের মালদহ জেলাস্তরের কেউ এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ।