মনোনয়ন জমার সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন বাম-কংগ্রেস সমর্থকেরা। দু’পক্ষকে সামাল দিতে লাঠিও চালাতে হল পুলিশকে।
জোট যে রাজ্য জুড়ে কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীদের কতটা চাঙ্গা করে তুলেছে, তার প্রমাণ দেওয়াল লিখনে পাল্লা দেওয়া থেকে হুমকির মুখে রুখে দাঁড়ানোর ঘটনায় বারবারই মিলছে। বৃহস্পতিবার ফের মিলল নদিয়ার রানাঘাটে।
এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিশাল মিছিল নিয়ে রানাঘাট মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর সিংহ। পরে আসেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের সিপিএম প্রার্থী বাবুসোনা সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস, শান্তিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যেরাও।
পুলিশ মহকুমাশাসকের বাংলোর সামনেই জোটের মিছিল আটকে দেয়। দুপুর ১টা নাগাদ পরে মিছিল নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সত্যজিৎ বিশ্বাস। খানিক তফাতে সেই মিছিলও আটকায় পুলিশ। দু’পক্ষই স্লোগান দিতে শুরু করে। ‘চোর চোর’ চিৎকার, কটুক্তি শুরু হয়ে যায়।
প্রথম থেকেই দুই মিছিলের মাঝে মোতায়েন ছিল পুলিশ, কমব্যাট ফোর্সও। তাঁরা চেষ্টা করেও দু’পক্ষকে শান্ত করতে পারেননি। উল্টে দুপুর ২টো নাগাদ ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গায়েও ইট লাগে। বেগতিক বুঝে পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। যুযুধান দুই পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সত্যজিৎ বলেন, ‘‘ওরা তো (জোট) সব জায়গাতেই গন্ডগোল বাধাতে চাইছে।’’ শঙ্কর পাল্টা বলেন, ‘‘ওরা যদি ভাবে, গুন্ডামি করে চিরকাল পার পেয়ে যাবে, ভুল ভাবছে। মানুষ জানে, কারা গন্ডগোল পাকায়।’’