মগরাহাটে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। তবে শুধু সরকারি খাতায় চিহ্নিত ‘স্পর্শকাতর এলাকা’য় গিয়ে চেনা ছকে রুট মার্চ নয়, মানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় কার্যত জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানেরা। স্থানীয় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিতেও দেখা গেল ‘জনসংযোগের দৃশ্য’। কোতোয়ালি থানার আইসি এবং জেলা পুলিশের ডিএসপি-কে সঙ্গে নিয়ে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় টহলের পাশাপাশি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার।
মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উস্তি থানার সংগ্রামপুর এবং কালিকাপোতা এলাকায় রুট মার্চ করেন ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান। স্থানীয় ১৬২, ১৬৩, ১৬৪ এবং ১৭০ নম্বর বুথে টহল দেন তাঁরা। টহলদারির সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এলাকায় কোনও ভয়ের পরিবেশ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা, এসডিপিও শান্তনু বসু-সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে এসডিপিও বলেন, ‘‘ভোটারদের মনোবল বাড়াতে মগরাহাট-পশ্চিম বিধানসভার স্পর্শকাতর বেশ কিছু এলাকায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী দিনেও বিভিন্ন এলাকায় এটি চলবে।’’
বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের চরিচা, কদমহীড়, শিউলিপাহাড়ি, বৈদ্যনাথপুর, মালাডাং-সহ একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। প্রায় ৪০ জন জওয়ান তাঁদের অফিসারের নেতৃত্বে প্রতিটি এলাকা ঘুরে দেখেন এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে ‘পরিস্থিতি’ বোঝার চেষ্টা করেন।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত লোকসভা ভোটে যে সমস্ত এলাকায় রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল এবং বর্তমানে যে এলাকাগুলিতে কেন্দ্র করে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, সেই সমস্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রুট মার্চ করানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সাহস জোগানোর পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাতে ভোটের দিন নির্দ্বিধায় বুথে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য।