বাজার করছেন জওয়ান, দখল হয়ে যাচ্ছে বুথ

ভোটের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে দাঁড়িয়ে। এলাকায় টহলদারি তো ৩৬ ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধ। বার বার এমন অভিযোগ তুলছে সবক’টি বিরোধী দল। কিন্তু তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৪৬
Share:

ভোটের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে দাঁড়িয়ে। এলাকায় টহলদারি তো ৩৬ ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধ। বার বার এমন অভিযোগ তুলছে সবক’টি বিরোধী দল। কিন্তু তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই। জঙ্গলমহলের ১৮ কেন্দ্রে যখন ভোট নেওয়া চলছে, তখন আরও এক ধাপ এগিয়ে বাজার করতে চলে গেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় যে ছবি, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতেও তাই।

Advertisement

অবাধ ভোট হবে কী ভাবে? ভোটগ্রহণ শুরু ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই রাজ্যের সব বিরোধী দলের প্রশ্ন এখন এইটাই। বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দেখা গিয়েছে বাজারে ঘুরে ঘুরে সব্জি কিনছেন জওয়ানরা। বুথের নিরাপত্তা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বদলে বাজার করায় মনে কেন? প্রশ্ন করতেই জবাব এসেছে, ‘‘খেতে তো হবে কিছু। না খেয়ে তো কাজ করা যাবে না। তাই বাজার করতে এসেছি।’’

পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতেও একই ছবি। সেখানে জামাকাপড়ের দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। কিন্তু শালবনিতে নির্বাচন মোটেই শান্তিপূর্ণ নয়। এই কেন্দ্রে সকাল থেকে একাধিক বুথ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানিকবাঁধ এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে বিজেপি কর্মীদের তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ ঘিরেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

Advertisement

পরে পুলি‌শ গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উদ্ধার করে। মেটাদহ বুথে ইভিএম-এর সামনে কোনও দেওয়াল নেই বলে অভিযোগ। বুথের বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছে, কে কোথায় ভোট দিচ্ছেন। সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডের ্অভিযোগ পেয়ে ইভিএম ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ভাতুড়িয়া, পরাননগর, চাচাগোত-সহ বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএম এজেন্টদের বার করে দিয়েছে তৃণমূল। তেমন অভিযোগও উঠেছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর খুব একটা হেলদোল নেই বলে বিরোধীদের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement