বায়োডেটায় নাজেহাল বিজেপি
BJP

১৩ কেন্দ্রে দাঁড়াতে চান ৩৫০ জন

তদ্বিরও শুরু হয়ে গেছে জোরদার। এক প্রাক্তন সিপিএম নেতা আবার দলবল নিয়ে ছুটেছেন বেলডাঙায় এক মহারাজের কাছে। ওই মহারাজের সঙ্গে নাকি বিজেপির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের ভাল যোগাযোগ।

Advertisement

বিমান হাজরা, সামসুদ্দিন বিশ্বাস

জঙ্গিপুর, বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২১ ০৫:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলায় ১৩ টি বিধানসভা আসন পড়ে, এই আসনগুলিতে লড়াই করার জন্য দলের জেলা সভাপতির কাছে অনেকেই বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই ১৩ টি আসনের জন্য ৩৫০ জন জেলা বিজেপির সভাপতির কাছে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। তাতে দলের জেলা কমিটির একাধিক পদাধিকারি থেকে শুরু করে মণ্ডলের নেতারাও রয়েছেন। এ ছাড়া কর্মী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। সেই আবেদন তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

বিজেপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকে বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। সে সব আমরা রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। দলের প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন। ফলে এবিষয়ে আমি কিছু বলব না।’’

শুধু তাই নয়, জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে বিজেপি নেতাদের। ১৫৬ জন ব্যক্তি বিজেপির প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। এদের মধ্যে আছেন দলের সাধারণ কর্মী থেকে জেলা কমিটির নেতা। মণ্ডল সভাপতি থেকে সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিক্ষকও। এমনকি একসময় বিজেপির হয়ে একাধিকবার প্রার্থী হয়ে হেরেছেন এমন বিশিষ্ট জনেরাও।
কিন্তু দলের অন্দরের খবর, আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে সেভাবে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এখনও কাউকেই বাছতে পারেননি বিজেপি নেতারা জঙ্গিপুর কেন্দ্রে।

Advertisement

জঙ্গিপুরে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ওই কেন্দ্রেরই বর্তমান বিধায়ক মন্ত্রী জাকির হোসেনের। একাধারে বিড়ি মালিক ও মন্ত্রী। তাই হেভিওয়েট প্রার্থী বলেই মানছেন তাঁকে বিজেপিও। তবু তার বিরুদ্ধে লড়তে চান দলের হয়ে ১৫৬ জন?
উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুজিত দাস বলছেন, ‘‘এত প্রার্থী জঙ্গিপুরের জন্য আবেদন করবেন ভাবতে পারিনি। আসলে জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বিজেপি যথেষ্ট ভাল অবস্থায় রয়েছে। তাই এত আগ্রহ।"
তাঁর কথায়, কেউ যদি নিজেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার যোগ্য মনে করে দলের কাছে আবেদন করে তাহলে দল তো তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে না। এবারে আবেদনের জন্য অফিসে বাক্স রাখা ছিল। সেখানে যে যার ইচ্ছে মতন প্রার্থী হতে আবেদন করেছে। সেই কারণেই জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ১৫৬টা আবেদন জমা পড়েছে। সব আবেদন পত্র দিল্লিতে সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাই যা করার করবেন।"

সুজিতবাবু বলছেন, ‘‘জঙ্গিপুরে গত লোকসভায় ৬৬ হাজারের উপর ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আমরা এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলাম কদিন আগে। তাতে এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে অন্তত ৮০ হাজার ভোট পাবে বিজেপি। তাই সবারই সাধ জেগেছে এমএলএ হওয়ার।’’

ইতিমধ্যে তদ্বিরও শুরু হয়ে গেছে জোরদার। এক প্রাক্তন সিপিএম নেতা আবার দলবল নিয়ে ছুটেছেন বেলডাঙায় এক মহারাজের কাছে। ওই মহারাজের সঙ্গে নাকি বিজেপির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের ভাল যোগাযোগ। আবেদনকারীর তালিকায় আছেন এক কট্টর বাম নেতা ও শহরের এক নার্সিং হোমের মালিকও। রাতারাতি তিনিও বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement