কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এই ঘোষণা করেছেন। —ফাইল চিত্র।
এক কোটির ‘ইনাম’ ঘোষণা করল তৃণমূল। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে কলকাতা পুর এলাকায় পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডগুলিতে ‘লিড’ দিতে পারলেই পুরস্কারস্বরূপ ওই টাকা মিলবে। বরো তহবিল বা কাউন্সিলর তহবিলে ওই টাকা দেওয়া হবে ‘ইনসেনটিভ’ হিসাবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে ওই টাকা দেওয়া হবে এলাকা উন্নয়নের কাজের জন্য। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে কলকাতা পুরসভার দলীয় কাউন্সিলর এবং পুর এলাকার মধ্যে থাকা বিধানসভার বিধায়কদের বৈঠকে ডাকা হয়। সেই বৈঠকেই কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এই ঘোষণা করেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
বিধানসভা ভোটের পরেই পুর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর-সহ কলকাতার ৫১টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে সেই পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোতেই ‘লিড’ পাওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল ওই ‘ইনাম’-এর ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, ফিরহাদ-সহ তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী কমিটির বেশির ভাগ সদস্যও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন কলকাতার বিধায়ক এবং কাউন্সিলররাও। সেখানেই এক কোটি টাকার ওই ‘ইনাম’ ঘোষণা করেন ফিরহাদ।
আগামী ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলগণনা। তার ৭৫ দিনের মধ্যেই পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কাউন্সিলরদের সতর্ক থাকতে বলেছে তৃণমূল। তাঁদের বলা হয়েছে, যিনি দলকে বেশি লিড দেবেন দলও তাঁর কথাই ভাববে। শুধু তাই নয়, যে কাউন্সিলর যে ওয়ার্ড থেকে সব থেকে বেশি লিড দেবে তাঁকে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে উন্নয়নের খাতে ব্যয় করার জন্য বাড়তি এক কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় বৈঠকে। কাউন্সিলর ফান্ড বা বরো ফান্ড হিসেবে দেওয়া হবে ওই টাকা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর নির্বাচন নিয়ে দল সমীক্ষা করবে। ২০১৫-র কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং প্রতিটি বুথে কত ভোট ছিল, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা বুথওয়াড়ি কত ভোটে জিতেছেন বা হেরেছেন বা কোন বুথে পিছিয়ে রয়েছেন, সেগুলি পর্যালোচনা করা হবে। ২০১৯-এর নির্বাচনে সেই ওয়ার্ড, সেই বুথের ফলাফল কী ছিল করা হবে তারও হিসাবনিকাশ।