Md Selim

WB Election: শেষ তিনদফার প্রচারে বড়সড় জমায়েত করবে না বামফ্রন্ট, ছোট পথসভা ও নেটমাধ্যমেই প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের

সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে প্রচার করবেন। ছোট ছোট পথসভার ওপর জোর দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব ও নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রচার করবেন প্রার্থীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৫৯
Share:

মহম্মদ সেলিম।

কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ভোটের প্রচারে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ করল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। বাকি তিন দফা ভোটে কোনওরকম বড়সড় জমায়েতে করবে না তাঁরা। বরং নেটমাধ্যম ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কথাই বলছে। এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক শিবির ভোটের প্রচারে বড়সড় প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিল।

Advertisement

বুধবার আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চার দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম দফার ভোট প্রচার শেষ লগ্নে, আগামী দফার নির্বাচনের প্রচারে বড়সড় ভিড় না করার। হইচই পাকানোর মতো কিছুই করা হবে না। বরং বহৎ প্রচারে না গিয়ে মানুষকে সচেতন করার ওপর জোর দেব আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যেখানে ভোট হয়েছে, বা যেখানে ভোট হবে সেইসব জায়গায় একই ভাবে গত এক বছর ধরে আমরা যে পরিষেবা দিয়েছি, তা আমরা করব। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বাস্তব পরিস্থিতি মেনে সবাইকে সচেতন করা এবং অসহায় মানুষের কাছে যাওয়া, মানুষের হক নিয়ে লড়াই করা। রেশন ও খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজ করব।’’

শেষ তিন দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোট হবে। সেই সমস্ত ভোটে বামফ্রন্টের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন সেলিম। সে ক্ষেত্রে যাঁরা যাবেন তাঁদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। সেলিম বলেছেন, ‘‘সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে প্রচার করা হবে। ছোট ছোট পথসভার ওপর জোর দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রচার করবেন প্রার্থীরা।’’ প্রত্যেক এলাকায় গিয়ে কয়েকটি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করেও প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন থেকে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই সিপিএম নেতা অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের সরকার তো করোনা মোকাবিলা মানে একটাই জিনিস জানে লকডাউন। এখনও লকডাউনের প্রভাব যায়নি। কর্মহীন মানুষের জ্বালা, মানুষের আকুতি ও যন্ত্রণা এখনও তাজা। মুখে কথা বলে অর্থনীতির কিছু হয়নি। কৃষি, বাজার, কলকারখানাকে সুরাহা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা এখনও সরকার করেনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement