আইএসএফে যোগ দিলেন জগৎবল্লভপুর যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সাবির আহমেদ। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া জেলা তৃণমূলে ভাঙন ধরাল আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। শনিবার বিকেলে হুগলির ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আইএসএফ-এ যোগ দিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান ও জগৎবল্লভপুর বিধানসভা এলাকার যুবনেতা সাবির আহমেদ। আব্বাসউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ৫০০ জন এবং সাবিরের সঙ্গে তাঁর ২৫০ জন অনুগামীও আইএসএফে নাম লেখালেন। আইএসএফ সভাপতি শিমুল সোরেন ও চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকি তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
নতুন দলে যোগ দিয়েই দুই নেতা আক্রমণ করেছেন তাঁদের ছেড়ে আসা দলকে। তাঁদের দাবি, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সঠিক মঞ্চ আইএসএফ। তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে বললেও, তাঁরা বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বহুলাংশে আন্তরিক নয়। তাই বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তাঁদের শিবির বদল। বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের চেয়ে আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বকেই তাঁরা মেনে নিয়েছেন। আইএসএফ নেতৃত্বও শাসকদলে ভাঙন ধরিয়ে তৃপ্ত।
তবে এই দুই নেতার দল ছাড়ার ঘটনায় আদৌ তাঁরা ভাবিত নয় বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, উলুবেড়িয়া পূর্ব ও জগৎবল্লভপুরে প্রার্থী না হতে পেরেই তাঁরা দল ছেড়েছেন। তাঁদের দল ছাড়ায় আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল। কারণ, উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন নেতাজি ইন্ডোরে এক দলীয় সভায় সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আব্বাসউদ্দিন। তাই তাঁর মতো নেতা দল ছাড়লে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ তৃণমূলের নেতারা।