প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুল যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হলেন এক শিক্ষক। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত? খুনের নেপথ্যে কারণই বা কী, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিরওয়া গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দকুমার যাদব (৫২) বাসিন্দা স্থানীয় এক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শুক্রবার স্কুল যাওয়ার পথে আচমকাই কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে তাঁর পথ আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অরবিন্দকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়েরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
খুনের নেপথ্যে কী কারণ? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই খুন হতে হয়েছে অরবিন্দকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দের স্ত্রী ঝিরওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। বর্তমানে তাঁর পুত্র উচকাগ্রাম ব্লকের সভাপতি। অরবিন্দ নিজেও এক সময় ঝিরওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে খুবই সক্রিয় তিনি।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার অবধেশ দীক্ষিত এ ব্যাপারে জানান, সন্দেহভাজনদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা।