নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রচারে এসে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের। সভা থেকে একদিকে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা যেমন তুলে ধরলেন, তেমনই তাঁর ভাষণে বারবার উচ্চারিত হল তৃণমূলের আমলে ‘গুন্ডারাজ’-এর প্রসঙ্গ। যোগী বললেন, ‘‘দিদি এখন গেরুয়া বসন দেখে ভয় পেতে শুরু করেছেন।’’
যে উন্নয়নের খতিয়ান তৃণমূলের প্রচারের মূল হাতিয়ার, সেই উন্নয়ন দিয়েই তৃণমূলকে বিঁধতে চাইলেন যোগী। বললেন, ‘‘বঙ্গে অরাজকতা চালাচ্ছে তৃণমূল। উন্নয়নে রুচি নেই দিদির। বাংলায় রোজগার নেই, কর্মসংস্থান নেই। তৃণমূলের গুন্ডারা উন্নয়নের টাকা জোর করে গরিব মানুষের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। সেই সূত্রেই সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিকাশ কামিলার প্রচার সভায় যোগীর দাবি, ‘‘আমপান ঝড়ের পর ক্ষতিপূরণ হিসাবে মোদীজি ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার তৃণমূলের গুণ্ডারা তা আত্মসাৎ করেছে। জনতার হাতে কোনও টাকাই পৌঁছয়নি। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মানুষের হাতে টাকা পৌঁছতে দেয়নি।’’
উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় কী কী সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সেই তালিকাও তুলে ধরেন যোগী। বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে ৪ বছরে ৪০ লাখ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দিয়েছে বিজেপি সরকার। ১ কোটি ৩৮ লাখ পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেয়েছে। ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে। ২ কোটি ৬১ লক্ষ পরিবারকে শৌচালয় দেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবিমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২ কোটি ৪২ লাখ কৃষক পরিবারকে কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই সুবিধাগুলো বাংলার মানুষ কেন পেল না দিদির কাছে জানতে চাই।