ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। বুধবার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে তৃণমূল প্রতিনিধিদল কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। রাজ্যের উপ-মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আশা করি সুবিচার পাব। আশা করি বিজেপি-র কথায় অন্তত ভারতের নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত হবে না।’’
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট ঘোষণার পরেও করোনা টিকার শংসাপত্রে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। বিভিন্ন পেট্রল পাম্পেও মোদীর ছবি শোভা পাচ্ছে। তৃণমূলের বক্তব্য মোদী শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপি-র তারকা প্রচারক। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁর ছবি ব্যবহারে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে বলে রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ।
ফিরহাদ বুধবার বলেন, ‘‘মোদীর নির্বাচনী প্রচারে সরকারি মদতের বিরুদ্ধেও আমারা আপত্তি তুলেছি।’’ পেট্রল পাম্পগুলিতে মোদীর ছবি ব্যবহারের প্রসঙ্গও তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষকে প্রভাবিত করতে ওই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞাপনে যে ভাবে মোদীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও তৃণমূলের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছে।
এ রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে চার সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধিদল। ফিরহাদ বলেন, ‘‘টিভিতে দেখলাম তিনি (কৈলাস) একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে যাঁরা খোল-করতাল বাজাচ্ছেন, তাঁদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করছেন। আমাদের প্রশ্ন একটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা যায় কী ভাবে!’’
প্রসঙ্গত, করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি ব্যবহারের প্রসঙ্গে সোমবার সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা ঘোষণা করে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাও প্রধানমন্ত্রীর ছবি করোনা টিকার নথিতে নির্লজ্জের মতো প্রকাশিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরবে তৃণমূল’।