নিজস্ব চিত্র
আসন্ন নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি-র প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। লড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি যে ছাড়তে রাজি নন শুভেন্দু, শনিবার তা নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার জনসভা থেকে ‘চাঁছাছোলা ভাষায়’ আবারও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। শনিবারই দিল্লি থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, বিজেপি-র প্রার্থী হিসাবে শুভেন্দুর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর এটিই তাঁর নন্দীগ্রামে প্রথম সভা।
দিল্লি থেকে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে রাজ্যে ফিরেই শনিবার প্রথম বার নন্দীগ্রামে পা রাখেন শুভেন্দু। ‘ব্রিগেড চলো’ স্লোগান নিয়ে রেয়াপাড়ায় প্রচার সভায় এসেছিলেন তিনি। আর সেই সভাতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করে গেলেন এই বিজেপি নেতা।
মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বহিরাগত’, ‘পরিযায়ী’ বলে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শীতকালে যেমন ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ফোটে, এ বার তেমন বহিরাগতরা আসছে নন্দীগ্রামে। এদেরকে একটিও ভোট দেবেন না।’’ নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘উনি মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেন, সেখানেই ৪৯৫টি ভোট বিজেপি-র বেশি। আচ্ছা আপনারা বলুন, আমি যদি হলদিয়ার মহাপ্রভুচক বুথে ভোট দিতাম আর সেখানে হারতাম, তা হলে এখানে আমি লেকচার দিতে পারতাম?’’
দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ১ এপ্রিল রাজ্যের সব থেকে ‘হাইভোল্টেজ’ কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে নির্বাচন। যেখানে শাসকদলের প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন একদা মমতার বিশ্বস্ত সৈনিক ও নন্দীগ্রামে বিজেপি-র প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
মমতাকে কড়া টক্কর দেওয়ার লক্ষ্যে এবং নিজেকে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে বোঝাতে শুভেন্দু ইতিমধ্যেই হলদিয়া থেকে নিজের ভোটাধিকার নন্দীগ্রামের নন্দনায়েক বাড় বুথের ভোটার হয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘চোরের যিনি সর্দার সেই তোলাবাজ ভাইপোর পিসিমণি এখানে দাড়িয়েছেন। গোটা রাজ্য জুড়ে কাটমানি তোলাবাজ সিন্ডিকেট করেছেন। একে হারাতে হবে। আমার সঙ্গে ওরা ছুটতে পারবে না। আমি ৮ তারিখ থেকে এখানে থাকছি। আর নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। আমাকে রাজ্য ঘোরার সুযোগ করে দিয়েছেন।’’
মমতাকে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘তিনি নিজে ভবানীপুর বুথে এতটাই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন কেন? কারণ, ওদের জন্য এলাকার লোকেরা অসন্তুষ্ট। উনি প্রতি ৫ বছর অন্তর নন্দীগ্রামে আসেন। আমপানে কি উনি এসেছিলেন? প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি দিয়েছিল সেগুলো সব লুটপাট করে নিয়েছে।’’