West Bengal Assembly Election 2021

WB Election 2021: কারও হাতে ৫০০, কারও ১১৫০

কারও হাতে নগদ ৫০০ টাকা তো কারও হাতে নগদ ১১৫০ টাকা। আর সেই নিয়েই ভোট যুদ্ধে নাম লেখালেন এসইউসির প্রার্থীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কারও হাতে নগদ ৫০০ টাকা তো কারও হাতে নগদ ১১৫০ টাকা। আর সেই নিয়েই ভোট যুদ্ধে নাম লেখালেন এসইউসির প্রার্থীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এসইউসির পাঁচজন প্রার্থী। এ দিন সকালে সিউড়িতে বাস স্ট্যান্ডের এসইউসির কার্যালয় থেকে মিছিল করে আসেন সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিতাই অঙ্কুর এবং সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নবকুমার দাস। তারপরে তাঁরা জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। অন্যদিকে ওই দলের রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন, হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী যূথিকা ধীবর ও মুররাই বিধানসভা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আনসারুল সেখ মনোনয়ন জমা দেন। এ দিন সকালে তাঁরা রামপুরহাটে ভাঁড়শালা মোড় থেকে একটি মিছিল করেন। তাঁরা রামপুরহাট মহকুমাশাসকের ভবনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। নথি সমস্যার জন্য বোলপুরের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি।

এসইউসি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমান খুবই সামান্য। যেমন, সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নবকুমার দাস। তিনি হাটইকড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় কৃষক। এসইউসির জেলার নেতারা জানান, নবকুমার দাসের বাবা ছিলেন তেভাগা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা। সেই সুবাদে তিনিও ছেলেবেলা থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত। এসইউসি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবকুমারের নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অনুসারে তাঁর হাতে নগদ টাকা আছে মাত্র ৫০০। তাছাড়া তাঁর নিজের চারটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট মোট চার হাজারের থেকে কিছু বেশি টাকা আছে। এ ছাড়া তাঁর ৩০০০০ হাজার টাকার জীবন বিমা এবং ০.২৮৭৪ একর চাষযোগ্য জমি ও ০.০২ একর জমি রয়েছে যা চাষযোগ্য নয়। নবকুমার দাস বলেন, ‘‘মানুষের পাশে থাকার লক্ষ্যেই আমরা ভোট যুদ্ধে নেমেছি।’’

Advertisement

একই ভাবে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরও সম্পত্তির পরিমাণ খুবই সামান্য। এসইউসি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যূথিকার হাতে নগদ টাকা আছে ১১৫০ টাকা এবং ব্যাঙ্কে আছে ৩৯০৯ টাকা। তাছাড়া তাঁর মাত্র দু’গ্রাম সোনা আছে। আরেক সাধারণ পরিবারের সদস্য হলেন আনসারুল সেখ। তিনি মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। এসইউসির জেলা সম্পাদক মদন ঘটক বলেন, ‘‘ওঁরা তিনজন অতি সাধারণ পরিবারের সদস্য হওয়ায় সাধারণ মানুষের সমস্যা ভাল করে বোঝেন। তাই সাধারণ সমস্যাকে হাতিয়ার করে এবং মানুষের উপর আস্থা রেখে তাঁরা নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement