গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরীরে আঘাত লাগার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে চিঠিটি দিয়ে আসেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
চিঠিতে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে কমিশনের হাতে। আর সেই নিয়ন্ত্রণ চালিত হচ্ছে বিজেপি-র নির্দেশে। তাই পুলিশ প্রশাসনের বদলিতেও ধরা পড়েছে পক্ষপাতিত্ব। সেই পক্ষপাতিত্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই প্রতিবাদপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই ডিজি পদে বদল করা হয়েছে। আর সেই বদলের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে গেল। তাই এই ঘটনার দায় কোনও ভাবেই কমিশন এড়োতে পারে না। চিঠিতে এমনটাই লিখেছে তৃণমূল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ‘পূর্বাভাষ’ ছিল বলে মন্তব্য করেন পার্থ। কমিশনে প্রতিবাদপত্র দিয়ে আসার পর পার্থ বলেছেন, ‘‘ওঁর উপর হামলার পূর্বাভাস ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি, মমতা নন্দীগ্রামের প্রার্থীও। কিন্তু ঘটনার সময় ছিলেন না জেলার পুলিশ সুপার কিংবা থানার আইসি। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ওই দু’জনেরই ঘটনাস্থলে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশের কোনও প্রবীণ কর্তারা ওখানে ছিলেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার জেড প্লাস সিকিউরিটি পাওয়ার কথা। কিন্তু তেমন কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘটনাস্থলে ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ছিলেন শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাই। আমরা জানতে চাই দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় এমন গাফিলতি কেন।’’
মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে বীরেন্দ্রকে সরিয়ে বসানো হয়েছে নীরজনয়ন পাণ্ডেকে। কমিশনের এই নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূল।