রঘুনাথগঞ্জের জনসভায় তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন অধীর। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের দলের কর্মীদের উপরেই ভরসা নেই। তাই তিনি বিধানসভা নির্বাচনে নায়ক-নায়িকা-আমলাদের প্রার্থী করেছেন। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “দলের কর্মীদের উপর ভরসা নেই দিদির। তাই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রার্থী করছে। এই বাংলায় তৃণমূলের যে দেউলিয়া অবস্থা, তাই দেখতে পাচ্ছি। একে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা বলা হয়।”
শুক্রবার বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছেন মমতা। তাতে নতুন-পুরনোদের ভিড়ে জায়গা পেয়েছেন টলিপাড়ার একাধিক মুখ। অভিনেতা সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মাল্য, কাঞ্চন মল্লিক থেকে শুরু করে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বা কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সি— সদ্য দলে যোগ দেওয়া এই তারকাদেরই দলের প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছেন মমতা। তবে এই আসন বণ্টন নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। মিছিলের পর একটি জনসভায় তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন অধীর। তিনি বলেন, “তাঁর নিজের দলের সাধারণ কর্মীদের উপরেই ভরসা নেই তৃণমূলনেত্রীর। তাঁর দলের কর্মীরা যোগ্য নন বলে মনে করেন তিনি। তাই (প্রার্থী হিসাবে) তারকা লাগে, নায়ক-নায়িকা লাগে, পুলিশ আধিকারিক দরকার পড়ে।” অধীরের দাবি, “যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক এই মুর্শিদাবাদ জেলাকে লুঠ করেছে, গরুপাচারের সঙ্গে জড়িত, মুর্শিদাবাদের হাজার হাজার ছেলেকে মিথ্যে কেসে জেলে ঢুকিয়েছে, তারা দিদির দলে এখন বিধায়ক হওয়ার জন্য টিকিট পাচ্ছে।”