মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীকে লেখা চিঠির জবাব নিজে দিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বুধবার কমিশনের কাছে দাবি জানাল সিপিএম-ও।
এ দিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মুখ্যসচিব শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব উনি দিতে পারেন না। তাই ওঁর বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
প্রচারে আসানসোলকে আলাদা জেলার মর্যাদাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আচরণবিধি ভেঙেছেন— এই যুক্তিতে কমিশন তাঁকে কারণ দর্শাতে বলে। সেই ‘শো-কজের’ উত্তর মমতা নন, দেন মুখ্যসচিব। মঙ্গলবার মমতা ও বাসুদেববাবুকে ৩টি চিঠি পাঠিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়। কমিশন মুখ্যসচিবকে জানিয়েছে, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন। মমতার হয়ে জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যসচিব কেন উষ্মা প্রকাশ করলেন, জানতে চেয়ে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই সিপিএমের এ দিনের দরবার। রবীনবাবুর দাবি, ২০১৩-য় স্বরাষ্ট্রসচিব থাকাকালীন বাসুদেববাবু বিধিভঙ্গের অভিযোগে সতর্কিত হন। সিপিএমের অভিযোগ নিয়ে কমিশন প্রতিক্রিয়া না-জানালেও নবান্ন অনড়। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন কমিশন চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর নির্দেশেই মুখ্যসচিব উত্তর দিয়েছেন। এটা বেআইনি কিছু নয়।’’ নবান্ন-সূত্রের ইঙ্গিত, মুখ্যসচিব আজ, বৃহস্পতিবার কমিশনের চিঠির জবাব দিতে পারেন। এ দিন কমিশনে এসে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘দলনেত্রীও ঠিক সময়ে চিঠির উত্তর দেবেন।’’