প্রার্থীর সঙ্গে। কাটোয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
সকালে জোট, বিকেলে তৃণমূলের সভা। একে বৈশাখের রোদ, তারপর দুই দলের জমায়েতে তাপমাত্রা যেন আরও বেড়ে গেল কাটোয়ায়।
সকালে মিছিল শুরু হওয়ার পরে রাস্তায় ভিড় দেখে অনেককেই বলতে শোনা গেল, ‘মিছিল তো নয়, যেন শহরটাই হাঁটছে।’ সত্যিই রোদ মাথায় একশো-দুশো নয়, প্রায় আট হাজার লোক জড়ো হয়েছিলেন মিছিলে। যে রাস্তা দিয়ে মিছিল চলছিল, সেখানে গাড়ি চলাচলও থমকে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য।
প্রচারের শেষ দিনে ঘণ্টা তিনেক ধরে মিছিল করে বাম-কংগ্রেস জোট। ঘোষেশ্বরতলা থেকে শুরু করে বারোয়ারিতলা, নিচু বাজার, থানা রোড হয়ে কাছাড়ি রোড ধরে সেই ঘোষেশ্বরতলায় ফেরে সেই মিছিল। ছাতা-টুপি মাথায় ঢল নেমেছিল মানুষের। প্রচারের পুরোভাগে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামা মজুমদার।
বিকেলে ৩টে নাগাদ তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে কাশীরাম দাস ময়দানে সভা করতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ময়দানের অনেকটাই ফাঁকা রয়ে যায়। এ দিন অভিষেক বলেন, ‘‘চার বছরের উন্নতির ধারা সিপিএম-কংগ্রেসের চোখে পড়েনি। জোট যাঁরা করেছেন সেই নেতারা উলঙ্গ রাজা। সাপেনেউলে এক হয়েছে।’’
তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘‘সকালের মিছিল, বিকেলের সভা দুটোই মানুষ দেখলেন। ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে কী হবে।’’ শ্যামাদেবীওর দাবি, ‘‘আমাদের থেকে অনেক কম লোক হয়েছিল তৃণমূলের সভায়। তার উপর হেলিকপ্টার দেখতেও বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন।’’