সাংবাদিক বৈঠকে মাসাদুল হক পিকু। নিজস্ব চিত্র।
জেলার প্রাক্তন ‘পর্যবেক্ষক’ দল ছাড়ার কয়েক মাসের মধ্যে মুখ ফেরালেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠও। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন কংগ্রেস ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মাসাদুল হক পিকু। বুধবার দলত্যাগের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন তিনি। তবে এখনই ভিন্ন দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেননি পিকু। কিন্তু ‘দাদার অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত পিকু বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে।
বছর পাঁচেক আগে শুভেন্দুর হাত ধরেই হাতশিবির ছেড়ে জোড়াফুলে গিয়েছিলেন পিকু। এলাকায় শুভেন্দুর অনুগামী হিসাবেই পরিচিত তিনি। শুভেন্দু গা থেকে তৃণমূল নেতার তকমা খসিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই পিকুকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। বুধবার ঔরঙ্গাবাদে নিজের বাড়িতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে ঘিরে জল্পনার প্রাথমিক ধাপ সত্য বলে প্রমাণ করে দিলেন পিকু। ঘোষণা করলেন তৃণমূল ছাড়ার কথা।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ। আবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে হঠাৎ দলত্যাগ। স্বাভাবিক ভাবেই পিকুর রাজনৈতিক গতি এ বার কোন কক্ষপথে আবর্তিত হবে, তা নিয়ে ফের এক বার প্রশ্ন উঠেছে। আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। বরং বজায় রেখেছেন ধোঁয়াশার আবহ। তবে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা শুভেন্দুর হাত ধরে পিকুর বিজেপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে বিভ্রাটে তৃণমূল। দৃশ্যত তাই মনে হচ্ছে। গত সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে প্রকাশ্যে চলে আসে রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। দু’বারের বিধায়ক সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে পথে নামেন দলের নেতা এবং সমর্থকরা। সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করা হয় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে। তার পরই কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সেই সারণিতে বুধবার পিকুর দলত্যাগের ঘটনা যোগ হওয়া, মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল শিবিরে ক্ষয়ের মাত্রা আরও কিছুটা বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।