প্রতীকী ছবি।
এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি দল। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকে ঘোষণা করার কথা বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের। ধাপে ধাপে বাকি প্রার্থীও ঘোষণা করা হবে। দলীয় সূত্রের খবর, বীরভূমের ১১টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে শয়ে শয়ে আবেদনপত্র কলকাতার রাজ্য বিজেপি দফতরের ড্রপ বক্সে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। যার মধ্যে শুধু বোলপুর মহকুমা এলাকার তিনটি বিধানসভা আসন (বোলপুর, নানুর, লাভপুর) মিলিয়ে যা আবেদন জমা পড়েছে, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্বর।
সূত্রের খবর, শুধু লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট চেয়ে একশোরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বোলপুরে টিকিট-প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। পিছিয়ে নেই নানুর। সেখানে ৩০-৩৫ জন প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন জমা করেছেন। একই ছবি জেলার বাকি ৮টি বিধানসভা আসনের ক্ষেত্রেও। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্যে দলের মণ্ডল সভাপতিরা যেমন রয়েছেন, তেমনই বেশ কিছু দলীয় পদাধিকারী ও বুথ স্তরের কর্মীরাও রয়েছেন।
প্রার্থী হওয়া, না-হওয়া নিয়ে ভোটের মুখে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি-র জেলা নেতৃত্বের একাংশের।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “আবেদন যতই জমা পড়ুক না কেন, টিকিট এক জনই পাবেন। প্রার্থী কারা হবেন, তা ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা যে নামগুলি নির্বাচন করবেন, তাঁরাই কেবলমাত্র টিকিট পাবে।” টিকিট না পেলে অসন্তোষ তৈরি হলে দল কি ব্যবস্থা নেবে? এর উত্তরে জেলা সভাপতি বলেন, “সময় এলে তাঁদেরকে সেই ভাবেই বোঝানো হবে।”
তবে, টিকিট না পেলেও তাঁরা দলের হয়েই বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন বলে জানাচ্ছেন প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদনকারীদের একাংশ। নানুর কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন বিজেপি-র বোলপুর গ্রামীণ সি মণ্ডলের সভাপতি বাপি মাঝি। তাঁর কথায়, “দল যাঁকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন, তাঁর হয়েই লড়বেন। এ ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজকর্ম করব না।” প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করালনানুরের তফসিলি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি উত্তম দাসও বলছেন, “যাঁরা প্রার্থী হতে চান, দল থেকে তাঁদের আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। আমিও আবেদন করেছি। আমাকে প্রার্থী করবে কি না, তা দল ঠিক করবে। প্রার্থী হলেও দলের হয়ে ভোট করব, প্রার্থী না হলেও করব।”