ঘাসফুল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে এ বছরই এসেছেন পদ্মশিবিরে। আগমনেই মিলেছে নির্বাচনের টিকিট। রাজ্য রাজনীতিতে আলোচিত নামগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছেন বৈশালী ডালমিয়া। নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় তাঁর বিষয় আশয়ের বিবরণ জানিয়েছেন জগমোহন-কন্যা।
২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বৈশালীর উপার্জন ছিল ৩৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৫০ টাকা। হলফনামায় জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর হাতে আছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৮৯ টাকা।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁর নামে গচ্ছিত আছে ৮০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৩ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্টে আছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
শেয়ারবাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে তাঁর বিনিয়োগ আড়াই লক্ষ টাকার বেশি। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে আছে ১ হাজার ১৫৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
অলঙ্কার সম্বন্ধে উল্লেখ না করলেও তাঁর মার্সিডিজ বেন্জের কথা জানিয়েছেন বৈশালী। ২০১৫ সালে কেনা গড়িটির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকা। অন্যান্য মহার্ঘ্য সম্পত্তির মধ্যে বৈশালী জানিয়েছেন তাঁর ৮১ হাজার ৮৪০ টাকার আসবাবপত্রের কথা।
কোনও কৃষিজমি বৈশালীর নামে নেই। বসতবাড়ি হিসেবে উল্লেখ করেছেন বালির রামনবমীতলা লেনের বাড়ির কথা।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে তাঁর নামে ৪৯ লক্ষ টাকার গৃহঋণ চলছে। পাশাপাশি, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবিশেষ মিলিয়ে তাঁর ঋণের অঙ্ক ছাপিয়ে গিয়েছে ১ কোটি টাকারও বেশি।
১৯৯২ সালে রাঁচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে স্নাতক বৈশালী পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসার কথা।
২০১৬ সালে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর কিছু দিন পরে তৃণমূলে যোগ দেন বৈশালী। সে বছরই বালি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ।
কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ছন্দপতন। বেশ কিছু দিন ধরেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন বৈশালী।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও সংবাদমাধ্যমে রাজীবের সমর্থনে সরব হন তিনি।
এর পর দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁকে বহিষ্কার করে। বহিষ্কারের এক সপ্তাহের মধ্যে বৈশালী বিজেপিতে যোগ দেন।
বৈশালীর সঙ্গে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ।
এ বার বালিতে বৈশালীর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের রানা চট্টোপাধ্যায় এবং সংযুক্ত মোর্চার দীপ্সিতা রায়। নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকে নতুন দলের টিকিটে বৈশালীর দ্বিতীয় ইনিংসের অপেক্ষায় তাঁর অনুরাগীরা।