খান্দরায় সভায় যোগী আদিত্যনাথ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে দিতে চাইলেও, রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসানসোলের মানুষের কাছে তা পৌঁছতে দিচ্ছে না— বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে এসে অভিযোগ তুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার অন্ডালের খান্দরায় সভা করেন আদিত্যনাথ। সেখানে দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের একই বন্ধনীতে রেখে বিঁধেছেন তিনি।
আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সমর্থনে এ দিন এই সভার আয়োজন হয়। সভায় যোগী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতে চান। অথচ, আসানসোলের মানুষকে তৃণমূল সরকার জলের জন্য হয়রান করছে। সব জায়গায় জল পৌঁছে দিতে পারেনি।” তাঁর সংযোজন: “কেন্দ্রে কংগ্রেস ৬৫ বছর শাসন করেছে। এ রাজ্যে তৃণমূল ১২ বছর সরকারে আছে। এই দু’টি দল একই মুদ্রার দু’টি পিঠ। এই দু’টি দল ও কমিউনিস্টরা প্রকাশ্যে পৃৃথক হলেও, দুর্নীতিতে একই। শুধু ওদের লুটের ধরন আলাদা।”
জল-সমস্যা প্রসঙ্গে আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা বিধান উপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “পুরসভা এলাকায় শুধু জামুড়িয়ায় জলকষ্ট আছে। সেই সমস্যা মেটাতে দামোদরের জল উৎস করে ডামরায় প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে।” জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায় জানান, ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় ২ লক্ষ ৮৫ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, ৬৫ শতাংশ বাড়িতে ইতিমধ্যে জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকিটাও হয়ে যাবে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “এ রাজ্যে বিধানসভায় তৃণমূল মুখ ও বিজেপি মুখোশ হয়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনে এর বিপরীত দেখা যায়। তাই ওদের বক্তব্যের গুরুত্ব নেই।”
তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “অবান্তর ও সাম্প্রদায়িক কথা বলেই বিজেপি টিকে থাকতে চাইছে।”