(বাঁ দিক থেকে) লাভলি আনন্দ, বীমা ভারতী, বিজয়লক্ষ্মী দেবী এবং অনিতা কুমারী। ছবি: সংগৃহীত।
নিজেরা টিকিট পাননি, কিন্তু স্ত্রীদের ভোটের ময়দানে নামিয়ে সংসদে পৌঁছতে চাইছেন বিহারের ‘বাহুবলী’ নেতারা। সেই প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘বাহুবলী’ নেতারা হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), না হয় জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর টিকিটে স্ত্রীদের প্রার্থী করার ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছেন।
‘বাহুবলী’ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন এ বারের লোকসভা নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে গোপালগঞ্জের জেলাশাসক জি কৃষ্ণোইয়াকে খুনের অভিযোগে ১৬ বছর জেলবন্দি থাকার পর গত বছরের এপ্রিলে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন আনন্দমোহন। নিজে টিকিট না পেয়ে স্ত্রী লাভলি আনন্দকে এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী করার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছেন। যদিও লাভলি নিজেও এক জন প্রাক্তন সাংসদ। এ বারের নির্বাচনে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি শিওহর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন। ২০১৯ সালে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন লাভলি। কিন্তু হেরে যান। তার পর এ বছরেই জেডিইউতে যোগ দেন তিনি।
রাজ্যের আর এক ‘বাহুবলী’ নেতা অবধেশ মণ্ডল। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী বীমা ভারতীকে প্রার্থী করেছে আরজেডি। পূর্ণিয়া থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। পাঁচ বারের জেডিইউ বিধায়ক বীমা। কিন্তু পরে আরজেডিতে যোগ দেন। তাঁর স্বামী অবধেশের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণের একাধিক মামলা রয়েছে।
জেডিইউ-এর হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন রাজ্যের আরও এক ‘বাহুবলী’ নেতা রমেশ সিংহ কুশওয়ার স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী দেবী। রমেশ সিংহ সিপিআইএম (লিবারেশন)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রাক্তন বিধায়ক। শিবাজি দুবের হত্যাকাণ্ডে জেলও খেটেছেন তিনি। রমেশের স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী এ বার সিওয়ান থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
বিহারের আর এক ‘বাহুবলী’ নেতা অশোক মাহাত। ১৭ বছর জেলবন্দি থাকার পর ২০২৩ সালে মুক্তি পান তিনি। অশোক এ বার আরজেডির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট পাননি। টিকিট পাওয়ার জন্য বিয়েও করেন সম্প্রতি। তার পর স্ত্রী অনিতা কুমারীকে প্রার্থী করানোর জন্য লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনিতাকে মুঙ্গের থেকে প্রার্থী করেছে আরজেডি।