গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য সমীকরণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) দাবি করেছেন, নীতীশকে আবার জোটসঙ্গী করায় বিহারে ক্ষতি হবে বিজেপির। এনডিটিভির জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য জানাচ্ছে, জেডিইউ ফিরে আসায় লোকসভা ভোটে বিহারে নিরঙ্কুশ জয় পাবে এনডিএ।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ১,৪৪৭ জন ভোটদাতার মতামত নিয়েছেন জনমত সমীক্ষকেরা। এঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে তাঁরা বিজেপি-জেডিইউ জোটকে সমর্থন করবেন। আরজেডি-কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ২৩ শতাংশ। যদিও বিহারের বিজেপি বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন’-এর শরিক সিপিআইএমএল-লিবারেশন, সিপিআই, সিপিএমের মতো দলকে ‘আরজেডি-কংগ্রেস জোট’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়ছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া অন্য দলগুলিকে সমর্থনের কথা বলেছেন সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ৬ শতাংশ ভোটদাতা। ১৮ শতাংশ ভোটদাতা কোনও জবাব দেননি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ৩৫ শতাংশ ভোটদাতা জানিয়েছেন ‘মহাগঠবন্ধন’ অটুট থাকলে তাঁরা ওই জোটকেই ভোট দিতেন। সে ক্ষেত্রে নীতীশ-বিহীন এনডিএ-ও পেত ৩৫ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, নীতীশের আগমনে প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট বাড়তে পারে এনডিএ-র।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী হিসাবে ১৭টি আসনে লড়াই করে ১৬টিতে জয় পেয়েছিল নীতীশের জেডিইউ। বিজেপি ১৭টিতে লড়ে সবগুলি এবং প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) ৬টিতে লড়ে সবগুলি জিতেছিল। ৪০টি আসনের মধ্যে বিরোধী জোটের একমাত্র কংগ্রেস একটি আসনে জিতেছিল। লালুপ্রসাদের দল আরজেডির ঝুলি ছিল শূন্য! এ বার নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা সে রাজ্যের ক’টি লোকসভা আসন নীতীশকে ছাড়েন, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।