—প্রতীকী ছবি।
দার্জিলিং লোকসভা আসনের প্রার্থী নিয়ে কলকাতায় এক দফা আলোচনা সেরে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জিটিএ প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। মোর্চা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের শেষে দু’দিনের জন্য কলকাতা যান অনীত। সেখানেই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। রবিরার অনীত জেলায় ফেরেন। দার্জিলিং আসনে পাহাড়েরই ‘ভূমিপুত্র’ প্রাক্তন এক আমলার নাম নিয়ে দুই নেতানেত্রীর কথা হয়েছে বলে খবর। এখনও সেই প্রস্তাবে তৃণমূল নেত্রী ‘সিলমোহর’ দেননি। তবে মোটামুটি সেই আমলাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল ভোটের।
তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক বা আলোচিত বিষয় নিয়ে অনীত এ দিন কিছুই বলেননি। তৃণমূলের তরফেও বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। তবে মোর্চার অন্যতম এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল প্রার্থী হবেন বলে ঠিক হয়েছে। শেষ মুহূর্তে কোনও বদল না হলে ঘাসফুল প্রতীকেই দুই দল এক সঙ্গে লড়বে। দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন পদে থাকা সেই আমলার নামই সামনে রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী সময়মতো জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’’
দলীয় সূত্রের খবর, শিক্ষক, আমলা, চিকিৎসকের মতো একাধিক প্রার্থীর মধ্যে থেকে প্রাক্তন আমলার নামই সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ঠিক হয়েছে। সমতল থেকে আর এক চিকিৎসকের নাম পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিন আগেই কালীঘাট থেকে প্রাক্তন আমলার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা দার্জিলিং থেকে পাঠানোর পরেই অনীতকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। কলকাতায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ধর্নার ফাঁকেই মমতার সঙ্গে অনীতের আলোচনা হয়। সেখানে রাজ্যের আর এক মন্ত্রীও ছিলেন বলে খবর।
এ বার ঠিক হয়, পাহাড় থেকেই গোর্খা কোনও মুখকে রাজ্যের শাসক দল প্রার্থী করবে। প্রথমে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থী তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়াবে— এমন আলোচনাও হয়। কিন্তু তৃণমূল জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে দার্জিলিঙের মতো আসনে যে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী রাখতে চায়, তা অনীতদের জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে প্রার্থী না খুঁজে নতুন কোনও মুখ সামনে আনার দায়িত্ব অনীতকেই দেন তৃণমূল নেত্রী। অনীতের প্রার্থীই তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়াবেন বলে ঠিক হয়। চারটি নাম বাছাই করার পর জেলার প্রশাসনিক, রাজনৈতিক মহলে পরিচিত প্রাক্তন আমলার নাম প্রথমে রয়েছে। সমতল থেকে পাহাড়ের উচ্চ প্রশাসনিক পদ ছাড়াও পর্যটন, ভূমি দফতর, জিটিএ-র বিভিন্ন উঁচু পদে ওই আমলা দায়িত্বে থেকেছেন।