এক মঞ্চে ভারতী ও দিলীপ। —ফাইল চিত্র।
প্রথম সম্ভাবনা, দিলীপ ঘোষই ফের মেদিনীপুরে প্রার্থী হচ্ছেন। দ্বিতীয় সম্ভাবনা, দিলীপ না হলে এখানে প্রার্থী হতে পারেন ভারতী ঘোষ। জেলা বিজেপির অন্দরে জল্পনা এমনই।
বিজেপি বঙ্গের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে নাম নেই মেদিনীপুরের। শীঘ্রই দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে বলে সূত্রের খবর। বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ফের মেদিনীপুরে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন এবং জল্পনা, দুই-ই রয়েছে দলের মধ্যে। দিলীপ না হলে এই কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে আরও কয়েক জনের। এর মধ্যে রয়েছে ভারতী ঘোষের নামও। দলীয় সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে না হলে অন্য একটি আসনে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা রয়েছে দিলীপের। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘প্রার্থী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।’’ সূত্রের দাবি, এই আসনের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ভাবা হয়েছে এক অভিনেত্রীর নামও।
ভারতী এক সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। এক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে বিতর্কেও জড়ান। গত লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ঘাটালে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। তবে দেবের কাছে হেরে যান।
অন্য দিকে, দিলীপ বছর খানেক শুধুই মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন। কোনও দলীয় পদে ছিলেন না। একুশের বিধানসভা ভোটের পরেই তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ খুইয়েছিলেন। তখন তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। গত বছর সেই পদও খোয়ান তিনি। এর পর দিলীপের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও দিলীপ নিজে বার বার স্পষ্ট করেছেন, দল তাঁকে নিজের কেন্দ্রে প্রস্তুতি নিতে বলেছিল। তিনি তা নিয়েছেন।
তবে বিজেপিতে গুঞ্জন, দিলীপের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দিলীপ কথা শোনেননি। তা ছাড়া, মেদিনীপুরে দলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। দিলীপের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ আছে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হিরণকে দল এর মধ্যেই ঘাটালে প্রার্থী করেছে। বিজেপির অন্দরে দিলীপ-শুভেন্দু টানাপড়েনও রয়েছে। ফলে, দিলীপের মেদিনীপুরে টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
কী হতে পারে মেদিনীপুরে, জানতেই উৎসুক কয়েক জন বিজেপি নেতা বৃহস্পতিবার রাতে অপেক্ষা করেছেন মেদিনীপুরের ধর্মায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ঘুরে ধর্মা দিয়েই কাঁথি ফিরেছে শুভেন্দুর কনভয়। তবে ওই কনভয় ধর্মায় দাঁড়ায়নি।