Uttarakhand

ভোটার ৫৮৭, ভোট দিলেন মাত্র ৪ জন! চার দিন ধরে ১০০ কিমি পাহাড়ি পথ বেয়ে ভোট নিয়ে এলেন কর্মীরা

কিন্তু কেন ভোটবিমুখ হলেন গ্রামবাসীরা? প্রায় ৬০০ জন ভোটারের মধ্যে কেন চার জন ভোট দিলেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৩
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ভোটার সংখ্যা ৫৮৭। কিন্তু ভোটকর্মীরা যখন ভোট সংগ্রহ করতে গেলেন, ভোট পড়ল মাত্র চারটি। এ বারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের একটি গ্রামে।

Advertisement

এই দফায় রাজ্যের সবচেয়ে প্রত্যন্ত বুথ ছিল কানার গ্রামে। পাহাড়ি একটি গ্রাম। দুর্গম রাস্তা। সেই গ্রামে ভোটার সংখ্যা ৫৮৭। সেই ভোট সংগ্রহ করতেই নির্বাচনের চার দিন আগে রওনা দিয়েছিলেন ভোটকর্মীদের চার জনের একটি দল। ১০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ বেয়ে যখন তাঁরা গ্রামে পৌঁছলেন, হতাশই হলেন। ভোটের জন্য সব রকম আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটাররাই এলেন না! তবে চার জন ‘মানরক্ষা’ করেছেন। না হলে খালি হাতেই ফিরতে হত ভোটকর্মীদের। সেই চার ভোট সংগ্রহ করে শনিবার ফিরেছেন ভোটকর্মীরা।

কিন্তু কেন ভোটবিমুখ হলেন গ্রামবাসীরা? প্রায় ৬০০ জন ভোটারের মধ্যে কেন চার জন ভোট দিলেন? এ বার কানার গ্রামের বাসিন্দাদের ভোটবিমুখ হওয়ার কারণ হল রাস্তা। যে রাস্তার কারণে তাঁদের জীবন-জীবিকা সমস্যার মুখে পড়ছে। এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও বয়কট করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তখনও তাঁদের দাবি ছিল রাস্তা। সেই সময় গ্রামের এক জনও ভোট দেননি। পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। আবারও একটি ভোট এসেছে। অথচ তাঁদের দাবি মেটানোই হল না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভাল কোনও রাস্তা নেই গ্রামে। দুর্গম পথ পেরিয়ে তবেই যাতায়াত করতে হয়। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

Advertisement

ভোটকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পিথোরাগড় থেকে রওনা হন তাঁরা। প্রথমে ৮০ কিলোমিটার বাসযাত্রা করেন। তার পর বারামে পৌঁছন। সেখানে রাত কাটিয়ে আবার বুধবার ভোরে পাহাড়ি পথ বেয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। ইভিএম এবং অন্য ভোটসামগ্রী বহনের জন্য দু’জনকে নেওয়া হয়। ১৬ কিলোমিটার পথ বেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় কানার গ্রামে পৌঁছন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement