উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েও রামমন্দির উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টানলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন ৫০০ বছরের যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে টেনে আনলেন সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গও। উপরাষ্ট্রপতির মতে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপকে গোটা দেশ স্বাগত জানিয়েছে।
এ দিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম সমাবর্তন। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কানওয়াল সিবল, উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ধনখড়ও। এ দিন নিজের ভাষণে ধনখড় বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি আমরা উৎসবের মেজাজে ছিলাম। ওই দিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই একটি উৎসবেই ৫০০ বছরের যন্ত্রণার অবসান হয়েছে।’’
এর পরেই ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্ররা যেন দেশের সাফল্য নিয়ে গর্বিত হয়। একই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁর বক্তব্য, ভারত-বিরোধী চিন্তাধারাকে ছাত্রদেরই মিটিয়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমার খারাপ লাগে যখন দেখি আমাদের গণতান্ত্রিক ভাবধারা নিয়ে বিদেশে প্রশ্ন তোলে শিক্ষিত মনন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষক এবং ছাত্রদের সাহায্যেই কিছু বহিরাগত ভারত-বিরোধী মানসিকতাকে উস্কে দেয়।’’
নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারত-বিরোধী বলে প্রচার করেছে বিজেপি এবং তাদের শাখা সংগঠনগুলি। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ উপাচার্যদের মাথায় বসিয়ে দেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দখল করতে চেষ্টা চালিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু তার পরেও গত দশ বছরে বারেবারেই নানা বিষয়ে পথে নেমে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ দিন উপরাষ্ট্রপতি পরোক্ষে সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ।