— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্বাচনে ওয়েবকাস্ট পদ্ধতি নতুন নয়। কিন্তু চলতি লোকসভা ভোটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-যুক্ত ওয়েবকাস্ট পদ্ধতিতে অভিযোগের সংখ্যা তুলনায় বেশ কমছে বলে দাবি করছেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, ক্যামেরার ছবি এবং শব্দগ্রহণের ক্ষমতা উচ্চ মানের হওয়ায়, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সামান্যতম গতিবিধিও কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নজর এড়াচ্ছে না।
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দিল্লির নির্বাচন সদন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর ছাড়াও জেলা সদরেও কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। সেখানে অনেকগুলি ‘স্ক্রিন’-এ প্রতিটি বুথকেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা সম্ভব। জেলা-কর্তাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, ভোট শুরুর পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর অভিযোগ আসতে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলির তরফেও আসে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। সেগুলি এলেই সংশ্লিষ্ট বুথকে ‘স্ক্রিন’-এ এনে অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে। সত্যতা খুঁজে পাওয়া না গেলে অভিযোগকারীকে প্রমাণ-সহ তা জানিয়ে দেওয়াও হয়। ভোট শুরুর পরে প্রথম কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি সকলে বুঝে যাওয়ায় অভিযোগের সংখ্যা কমতে থাকে ক্রমশ।
জেলা-কর্তাদের অনেকে জানাচ্ছেন, কয়েকশো করে বুথ গোটা পদ্ধতিতে যুক্ত থাকায় স্ক্রিনগুলিতে তা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা হয়। এআই সংকেত পাঠালে তৎক্ষণাৎ সেই বুথকে পর্দায় সক্রিয় করে যাচাই করা হয় ভিডিয়ো এবং সেখানকার শব্দ। সংশোধন বা সতর্ক করার কিছু থাকলে তালিকাভুক্ত ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে ফোন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বার্তা। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “ভোট শুরুর পর থেকে কোথাও কিছু না কিছু ঘটতেই থাকে। অভিযোগ আসুক বা না আসুক, প্রযুক্তি সমস্যা ধরিয়ে দেয়। ফোন করে প্রিসাইডিং অফিসারকে সতর্ক করে দেওয়ার বার্তা আশেপাশের বুথগুলিতে ছড়িয়ে যেতে সময় লাগে না।”