(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং দিলীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ সম্পর্কে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপের বিরুদ্ধে সরাসরি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সূত্রে খবর, জেলাশাসকের কাছ থেকে ওই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে তা দিল্লিতে কমিশনের দফতরে পাঠানো হবে। কমিশন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ মঙ্গলবার সকালে মমতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ মঙ্গলবার শহরে দুর্গাপুরে চতুরঙ্গ মাঠ থেকে অম্বুজা এলাকায় স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বার হয়েছিলেন। সেখানে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ক্রিকেটার হিসেবে সেই বিষয়ে তাঁকে আমি সম্মান করি। কিন্তু এটা রাজনীতি। আর উনি দিদির হাত ধরে এসেছেন। সেই দিদির পা-ই টলছে। এখন তাঁর বাড়ির লোক তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বাংলার লোক কখন ধাক্কা মেরে ফেলে দেবেন উনি বুঝতেই পারবেন না।’’
দিলীপের দাবি, ‘‘বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। খড়্গপুরের বিদায়ী বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের নিন্দা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর তাড়া খেয়ে মেদিনীপুর থেকে দুর্গাপুরে এসেছেন। এখন এই রকম বেলাগাম বক্তব্য দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন।’’
মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘যা বলার নির্বাচন কমিশনকে বলব। প্রতি বারই ভোটের আগে তৃণমূল মহিলা কার্ড খেলে।এটা সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যেখানে যা ইচ্ছা তাই মন্তব্য করেন। আমার প্রশ্ন করার অধিকার আছে। সবাই পারে না। আমি করেছি। যা জবাব দেবার, তা নির্বাচন কমিশনকে দেব। একটা কাউকে তো ইস্যু করতে হবে। দিলীপ ঘোষকেই করেছে।কে নারীবিদ্বেষী, তা সন্দেশখালির মানুষ জানেন।’’